32 এর পরে ঈসা ও তাঁর সাহাবীরা জেরুজালেমের পথে চললেন। ঈসা তাঁদের আগে আগে হাঁটছিলেন; সাহাবীরা অবাক হয়ে তাঁর সংগে যাচ্ছিলেন এবং যে লোকেরা পিছনে আসছিল তারা ভয়ে ভয়ে হাঁটছিল। ঈসা আবার তাঁর বারোজন সাহাবীকে একপাশে ডেকে নিয়ে গিয়ে নিজের উপর কি হতে যাচ্ছে তা তাঁদের বলতে লাগলেন।
33 তিনি বললেন, “দেখ, আমরা জেরুজালেমে যাচ্ছি। সেখানে ইব্ন্তেআদমকে প্রধান ইমামদের ও আলেমদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হবে। তাঁরা তাঁর বিচার করে তাঁকে মৃত্যুর উপযুক্ত বলে স্থির করবেন এবং অ-ইহুদীদের হাতে দেবেন।
34 অ-ইহুদীরা তাঁকে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করবে, তাঁর গায়ে থুথু দেবে, তাঁকে ভীষণভাবে চাবুক মারবে এবং হত্যা করবে। তিন দিনের দিন আবার তিনি জীবিত হয়ে উঠবেন।”
35 পরে সিবদিয়ের ছেলে ইয়াকুব ও ইউহোন্না ঈসার কাছে এসে বললেন, “হুজুর, আমাদের ইচ্ছা এই যে, আমরা যা চাইব আমাদের জন্য আপনি তা-ই করবেন।”
36 ঈসা বললেন, “তোমাদের জন্য আমি কি করব? তোমরা কি চাও?”
37 তাঁরা বললেন, “আপনি যখন মহিমার সংগে রাজত্ব করবেন তখন যেন আমাদের একজন আপনার ডানপাশে ও অন্যজন বাঁপাশে বসতে পারে।”
38 ঈসা বললেন, “তোমরা কি চাইছ তা জান না। যে দুঃখের পেয়ালায় আমি খেতে যাচ্ছি তাতে কি তোমরা খেতে পার? কিংবা যে তরিকাবন্দী আমি নিতে যাচ্ছি তা কি তোমরা নিতে পার?”