30 তখন যোনাথনের প্রতি তালুতের ক্রোধ প্রজ্বলিত হল, তিনি তাঁকে বললেন, ওহে জারজ সন্তান, বিদ্রোহিনী স্ত্রীর পুত্র, আমি কি জানি না যে, তুই তোর লজ্জা ও তোর মায়ের লজ্জা জন্মাতে ইয়াসির পুত্রকে মনোনীত করেছিস?
31 ফলে ইয়াসির পুত্র যতদিন ভূতলে থাকবে, ততদিন তুই স্থির থাকবি না, তোর রাজ্যও স্থির থাকবে না। অতএব এখন লোক পাঠিয়ে তাকে আমার কাছে নিয়ে আয়, কেননা সে মৃত্যুর সন্তান।
32 তাতে যোনাথন জবাবে তাঁর পিতা তালুতকে বললেন, সে কেন হত হবে? সে কি করেছে?
33 তখন তালুত তাঁকে আঘাত করার জন্য তাঁর দিকে তাঁর বর্শা নিক্ষেপ করলেন; এতে যোনাথন জানতে পারলেন যে, তাঁর পিতা দাউদকে হত্যা করতে মনস্থ করেছেন।
34 তখন যোনাথন মহাক্রুদ্ধ হয়ে আসন থেকে উঠলেন, মাসের দ্বিতীয় দিনে আহার করলেন না; কেননা দাউদের জন্য তাঁর দুঃখ হল, কারণ তাঁর পিতা দাউদকে অপমান করেছিলেন।
35 পরে খুব ভোরে যোনাথন একটি ছোট বালককে সঙ্গে নিয়ে ক্ষেতে, দাউদের সঙ্গে যে স্থান নির্ধারিত হয়েছিল সেখানে গেলেন।
36 পরে তিনি বালকটিকে বললেন, আমি যে কয়েকটি তীর নিক্ষেপ করবো, তুমি দৌড়ে গিয়ে তা কুড়িয়ে আন। তাতে বালকটি দৌড়ালে তিনি তার ওদিকে পড়বার মত তীর নিক্ষেপ করলেন।