1 আর লোকেরা দাউদকে এই সংবাদ দিল, দেখ, ফিলিস্তিনীরা কিয়ীলার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে, আর খামারগুলোর শস্য লুটে নিচ্ছে।
2 তখন দাউদ মাবুদের কাছ জিজ্ঞাসা করলেন, আমি কি গিয়ে ঐ ফিলিস্তিনীদের আক্রমণ করবো? মাবুদ দাউদকে বললেন, যাও, সেই ফিলিস্তিনীদের আক্রমণ কর ও কিয়ীলা রক্ষা কর।
3 দাউদের লোকেরা তাঁকে বললো, দেখুন, আমাদের এই এহুদা দেশে থাকাই ভয়ের বিষয়; সেখানে কিয়ীলাতে ফিলিস্তিনীদের সৈন্যদের বিরুদ্ধে যাওয়া আরও কত না ভয়ের বিষয়?
4 তখন দাউদ পুনর্বার মাবুদের কাছে জিজ্ঞাসা করলেন; আর মাবুদ জবাবে বলেন, উঠ, কিয়ীলাতে যাও, কেননা আমি ফিলিস্তিনীদের তোমার হাতে তুলে দিব।
5 তখন দাউদ ও তাঁর লোকেরা কিয়ীলাতে গেলেন এবং ফিলিস্তিনীদের সঙ্গে যুদ্ধ করে তাদের পশুগুলো নিয়ে আসলেন, আর তাদের মহা আয়োজনে সংহার করলেন; এভাবে দাউদ কিয়ীলা-নিবাসীদের রক্ষা করলেন।
6 অহীমেলকের পুত্র অবিয়াথর যখন কিয়ীলাতে দাউদের কাছে পালিয়ে যান, তখন তিনি একটি এফোদ নিয়ে এসেছিলেন।
7 পরে দাউদ কিয়ীলাতে এসেছেন, এই সংবাদ পেয়ে তালুত বললেন, আল্লাহ্ তাকে আমার হাতে তুলে দিয়েছেন, কেননা দ্বার ও অর্গলযুক্ত নগরে প্রবেশ করাতে সে আবদ্ধ হয়েছে।
8 পরে দাউদ ও তাঁর লোকদেরকে অবরোধ করার জন্য তালুত যুদ্ধার্থে কিয়ীলাতে যাবার জন্য সমস্ত লোককে ডাকলেন।
9 দাউদ জানতে পারলেন যে, তালুত তাঁর বিরুদ্ধে অনিষ্ট কল্পনা করছেন, তাই তিনি ইমাম অবিয়াথরকে বললেন, এফোদটা এখানে নিয়ে এসো।
10 পরে দাউদ বললেন, হে মাবুদ, ইসরাইলের আল্লাহ্, তালুত আমার জন্য কিয়ীলাতে এসে এই নগর উচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছেন, তোমার গোলাম আমি এই কথা শুনতে পেলাম।
11 কিয়ীলার গৃহস্থেরা কি তাঁর হাতে আমাকে তুলে দেবে? তোমার গোলাম আমি যেরকম শুনলাম, সেভাবে তালুত কি আসবেন? হে মাবুদ, ইসরাইলের আল্লাহ্, আরজ করি, তোমার গোলামকে তা বল। মাবুদ বললেন, সে আসবে।
12 দাউদ জিজ্ঞাসা করলেন, কিয়ীলার গৃহস্থেরা কি আমাকে ও আমার লোকদের তালুতের হাতে তুলে দেবে? মাবুদ বললেন, তুলে দেবে।
13 তখন দাউদ ও তাঁর লোকেরা অনুমান ছয় শত লোক, উঠে কিয়ীলা থেকে বের হয়ে যে যেখানে যেতে পারল, গেল; আর তালুতকে যখন বলা হল যে, দাউদ কিয়ীলা থেকে পালিয়ে গেছে তখন তিনি আর সেখানে গেলেন না।
14 পরে দাউদ মরু-ভূমিতে নানা সুরক্ষিত স্থানে বাস করলেন, সীফ মরুভূমিতে পাহাড়ী অঞ্চলে রইলেন। আর তালুত প্রতিদিন তাঁর খোঁজ করলেন, কিন্তু আল্লাহ্ তাঁর হাতে তাঁকে তুলে দিলেন না।
15 আর দাউদ দেখলেন যে, তালুত আমার প্রাণনাশের চেষ্টায় বের হয়ে এসেছেন। সেই সময় দাউদ সীফ মরুভূমিতে বনে ছিলেন।
16 আর তালুতের পুত্র যোনাথন হরেশে দাউদের কাছে গিয়ে মাবুদের মধ্য দিয়ে তাঁর হাত শক্তিশালী করলেন।
17 আর তিনি তাঁকে বললেন, ভয় করো না, আমার পিতা তালুতের হাতে তুমি ধরা পড়বে না, আর তুমি ইসরাইলের উপরে বাদশাহ্ হবে এবং আমি তোমার দ্বিতীয় হব, এই কথা আমার পিতা তালুতও জানেন।
18 পরে তাঁরা দু’জন মাবুদের সাক্ষাতে নিয়ম স্থির করলেন। আর দাউদ হরেশেই থাকলেন কিন্তু যোনাথন নিজের বাড়িতে চলে গেলেন।
19 পরে সীফীয়েরা গিবিয়াতে তালুতের কাছে গিয়ে বললো, দাউদ কি আমাদের কাছে যিশীমোনের দক্ষিণে হখীলা পাহাড়ের হরেশের কোন সুরক্ষিত স্থানে লুকিয়ে নেই?
20 অতএব হে বাদশাহ্! নেমে আসার জন্য আপনার প্রাণ যেভাবে চায়, সেভাবে নেমে আসুন; বাদশাহ্র হাতে তাকে তুলে দেওয়া আমাদের কাজ।
21 তালুত বললেন, মাবুদ তোমাদের দোয়া করুন, কেননা তোমরা আমার প্রতি কৃপা করলে।
22 তোমরা যাও, আরও সন্ধান করে জেনে নাও, দেখ তার পা রাখার স্থান কোথায়? আর সেখানে তাকে কে দেখেছে? কেননা দেখ, লোকে আমাকে বলেছে, সে ভীষণ চালাক।
23 অতএব যে সমস্ত গুপ্ত স্থানে সে লুকিয়ে থাকে, তার কোন্ স্থানে সে আছে, তা দেখ, লক্ষ্য কর, পরে আমার কাছে আবার নিশ্চয় সংবাদ নিয়ে এসো, আসলে আমি তোমাদের সঙ্গে যাব; সে যদি দেশে থাকে তবে আমি এহুদার সমস্ত গোষ্ঠীর মধ্যে তার সন্ধান করবো।
24 তাতে তারা উঠে তালুতের আগে সীফে গেল; কিন্তু দাউদ ও তাঁর লোকেরা যিশীমোনের দক্ষিণে অরাবায়, মায়োন মরুভূমিতে ছিলেন।
25 পরে তালুত ও তাঁর লোকেরা তাঁর খোঁজে গেলেন, আর লোকেরা দাউদকে তার সংবাদ দিলে তিনি শৈলে নেমে আসলেন এবং মায়োন মরু মরুভূমিতে রইলেন। তা শুনে তালুত মায়োন মরুভূমিতে দাউদের পিছনে পিছনে তাড়া করে গেলেন।
26 আর তালুত পর্বতের এক পাশে গেলেন এবং দাউদ ও তাঁর লোকেরা পর্বতের অন্য পাশে গেলেন। আর দাউদ তালুতের ভয়ে স্থানান্তরে যাবার জন্য তাড়াতাড়ি প্রস্তুত হলেন; কেননা তাঁকে ও তাঁর লোকদের ধরবার জন্য তালুত তাঁর লোকদের সঙ্গে তাঁকে বেষ্টন করেছিলেন।
27 কিন্তু এক দূত তালুতের কাছে এসে বললো, আপনি শীঘ্র আসুন, কেননা ফিলিস্তিনীরা দেশ আক্রমণ করেছে।
28 তখন তালুত দাউদের পিছনে তাড়া করা বন্ধ করে ফিলিস্তিনীদের বিরুদ্ধে যাত্রা করলেন। এজন্য সেই স্থানের নাম সেলা-হম্মলকোৎ [রক্ষাশৈল] হল।
29 পরে দাউদ সেখান থেকে উঠে গিয়ে ঐন্-গদীস্থ নানা সুরক্ষিত স্থানে বাস করলেন।