1 হে ভাইয়েরা, আমি চাই যেন তোমরা জানতে পার যে, আমাদের পূর্বপুরুষেরা সকলে সেই মেঘের নিচে ছিলেন ও সকলে সমুদ্রের মধ্য দিয়ে গমন করেছিলেন;
2 এবং সকলে মূসার উদ্দেশে মেঘে ও সাগরে বাপ্তিস্ম নিয়েছিলেন,
3 এবং সকলে একই রূহানিক খাদ্য ভোজন করেছিলেন;
4 আর, সকলে একই রূহানিক পানীয় পান করেছিলেন; কারণ, তারা এমন এক রূহানিক পাথর থেকে পান করতেন, যা তাদের সঙ্গে সঙ্গে যাচ্ছিল; আর সেই পাথর ছিলেন মসীহ্।
5 কিন্তু তাদের মধ্যে অধিকাংশ লোকের প্রতি আল্লাহ্ নারাজ হয়েছিলেন এবং তাঁরা মরুভূমিতে ধ্বংস হলেন।
6 এই সব বিষয় আমাদের দৃষ্টান্তস্বরূপে ঘটেছিল, যেন তাঁরা যেমন অভিলাষ করেছিলেন, আমরা তেমনি মন্দ বিষয়ের অভিলাষ না করি।
7 আবার যেমন তাঁদের মধ্যে কতগুলো লোক প্রতিমাপূজক হয়েছিল, তোমরা তেমনি না হও; যেমন লেখা আছে, “লোকেরা ভোজন পান করতে বসলো, পরে ক্রীড়া করতে উঠলো।”
8 আর যেমন তাদের মধ্যে কতগুলো লোক জেনা করেছিল এবং এক দিনে তেইশ সহস্র লোক মারা পড়েছিল, আমরা যেন তেমনি জেনা না করি।
9 আর যেমন তাদের মধ্যে কতগুলো লোক পরীক্ষা করেছিল এবং সর্পের আঘাতে মারা পরেছিল, আমরা যেন তেমনি মসীহের পরীক্ষা না করি।
10 আর যেমন তাদের মধ্যে কতগুলো লোক বচসা করেছিল এবং সংহারকের দ্বারা বিনষ্ট হয়েছিল তোমরা তেমনি বচসা করো না।
11 এসব তাদের প্রতি দৃষ্টান্তরূপে ঘটেছিল এবং আমাদের, যাদের উপর যুগের শেষ সময় উপস্থিত হয়েছে, সেই আমাদেরই চেতনার জন্য লেখা হয়েছে।
12 অতএব যে মনে করে আমি দাঁড়িয়ে আছি, সে সাবধান হোক, পাছে পড়ে যায়।
13 মানুষ যা সহ্য করতে পারে, তা ছাড়া অন্য কোন পরীক্ষা তো তোমাদের প্রতি ঘটে নি; আর আল্লাহ্ বিশ্বাসযোগ্য; তিনি তোমাদের প্রতি তোমাদের শক্তির অতিরিক্ত পরীক্ষা ঘটতে দেবেন না, বরং পরীক্ষার সঙ্গে সঙ্গে রক্ষার পথও করে দেবেন, যেন তোমরা সহ্য করতে পার।
14 অতএব, হে আমার প্রিয়েরা, প্রতিমাপূজা থেকে পালাও।
15 আমি তোমাদের বুদ্ধিমান জেনে বলছি; আমি যা বলি, তোমরা তা বিচার করে দেখ।
16 আমরা শুকরিয়ার যে পানপাত্র নিয়ে শুকরিয়া জানাই, তা কি মসীহের রক্তের সহভাগিতা নয়? আমরা যে রুটি ভাঙ্গি, তা কি মসীহের শরীরের সহভাগিতা নয়?
17 কারণ অনেকে যে আমরা, আমরা এক রুটি, এক শরীর; কেননা আমরা সকলে সেই এক রুটির অংশীদার।
18 ইসরাইল জাতির প্রতি তাকিয়ে দেখ; যারা কোরবানীর জিনিস ভোজন করে, তারা কি কোরবানগাহ্র সহভাগী নয়?
19 তবে আমি কি বলছি? মূর্তির কাছে কোরবানী করা খাদ্য কি কিছুরই মধ্যে গণ্য?
20 বরং অ-ইহুদীরা যা যা উৎসর্গ করে, তা বদ-রূহ্দের উদ্দেশে কোরবানী করে, আল্লাহ্র উদ্দেশে নয়; আর আমার এমন ইচ্ছা নয় যে, তোমরা বদ-রূহ্দের সহভাগী হও।
21 প্রভুর পানপাত্র ও বদ-রূহ্দের পানপাত্র, তোমরা এই উভয় পাত্রে পান করতে পার না; প্রভুর টেবিল ও বদ-রূহ্দের টেবিল, তোমরা এই উভয় টেবিলের অংশীদার হতে পার না।
22 অথবা আমরা কি প্রভুর ক্রোধ জন্মাচ্ছি? তাঁর থেকে কি আমরা বলবান?
23 সবই আইনসম্মত, কিন্তু সবই যে মঙ্গলজনক, তা নয়; সবই আইনসম্মত, কিন্তু সব কিছুই যে গেঁথে তোলে, তা নয়।
24 কেউই স্বার্থ চেষ্টা না করুক, বরং প্রত্যেকে পরের মঙ্গলের চেষ্টা করুক।
25 যে কোন দ্রব্য বাজারে বিক্রি হয়, বিবেকের কাছে কোন প্রশ্ন না করে তা ভোজন করো;
26 যেহেতু “দুনিয়া ও তার সমস্ত বস্তু প্রভুরই।”
27 অ-ঈমানদারদের মধ্যে কেউ যদি তোমাদের দাওয়াত করে, আর তোমরা যেতে ইচ্ছা কর, তবে বিবেকের কাছে কোনও প্রশ্ন না করে, যে কোন সামগ্রী তোমাদের সম্মুখে রাখা হয়, তা-ই ভোজন করো।
28 কিন্তু যদি কেউ তোমাদের বলে, এটা মূর্তির কাছে উৎসর্গ করা হয়েছে, তবে যে জানালো, তার জন্য এবং বিবেকের জন্য তা ভোজন করো না।
29 যে বিবেকের কথা আমি বললাম, তা তোমার নয়, কিন্তু সেই অন্য ব্যক্তির। কারণ আমার স্বাধীনতা কেন পরের বিবেকের দ্বারা বিচারিত হবে?
30 যদি আমি শুকরিয়া জানিয়ে ভোজন করি, তবে যার জন্যে আমি শুকরিয়া জানাই, তার জন্য কেন নিন্দিত হই?
31 অতএব তোমরা ভোজন, বা পান, বা যা কিছু কর, সকলই আল্লাহ্র গৌরবার্থে কর।
32 ইহুদী, বা গ্রীক, বা আল্লাহ্র মণ্ডলী, কারো বিঘ্ন জন্মাবে না;
33 যেমন আমিও সমস্ত বিষয়ে সকলের প্রীতিকর হই, নিজের মঙ্গলের চেষ্টা করি না, কিন্তু অনেকের মঙ্গলের চেষ্টা করি, যেন তারা নাজাত পায়।