1 বাস্তবিক শোনা যাচ্ছে যে, তোমাদের মধ্যে জেনা আছে, আর এমন জেনা, যা অ-ইহুদীদের মধ্যেও নেই, এমন কি, তোমাদের মধ্যে একজন তার সৎমায়ের সঙ্গে ঘর করছে।
2 আর তোমরা গর্ব করছো! বরং মাতম কর নি কেন, যেন এমন কর্ম যে ব্যক্তি করেছে, তাকে তোমাদের মধ্য থেকে বের করে দেওয়া হয়?
3 আমি, দেহে অনুপস্থিত হলেও রূহে উপস্থিত হয়ে, যে ব্যক্তি এমন কাজ করেছে, উপস্থিত ব্যক্তির মত তার বিচার করেছি।
4 যখন তোমরা আমাদের প্রভু ঈসার নামে সমাগত হও আর আমিও রূহে তোমাদের সঙ্গে থাকব এবং আমাদের প্রভু ঈসার পরাক্রম আমাদের উপর থাকবে।
5 তখন সেই ব্যক্তিকে দৈহিকভাবে বিনাশের জন্য শয়তানের হস্তে সমর্পণ করতে হবে, যেন প্রভু ঈসার নির্ধারিত দিনে তার রূহ্ নাজাত পায়।
6 তোমাদের গর্ব করা ভাল নয়। তোমরা কি জান না যে, অল্প খামি সুজির সমস্ত তাল ফাঁপিয়ে তোলে।
7 পুরাতন খামি বের করে দাও; যেন তোমরা নতুন তাল হতে পার— তোমরা তো খামিহীন। কারণ আমাদের ঈদুল ফেসাখের মেষশাবক কোরবানীরূপে উৎসর্গীকৃত হয়েছেন, তিনি মসীহ্।
8 অতএব এসো, আমরা পুরাতন খামি দিয়ে নয়, হিংসা ও নাফরমানীর খামি দিয়ে নয়, কিন্তু সরলতা ও সত্যতার খামিহীন রুটি দিয়ে ঈদটি পালন করি।
9 আমি আমার পত্রে তোমাদেরকে লিখেছিলাম যে, জেনাকারীদের সংসর্গে থাকতে নেই;
10 এই দুনিয়ার জেনাকারী বা লোভী বা প্রবঞ্চক বা প্রতিমাপূজকদের সংসর্গ একেবারে ছাড়তে হবে, তা নয়, কেননা তা হলে তো তোমাদের দুনিয়ার বাইরে চলে যাওয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
11 কিন্তু এখন তোমাদেরকে লিখছি যে, ভাই নামে আখ্যাত কোন ব্যক্তি যদি জেনাকারী বা লোভী বা প্রতিমাপূজক বা কটুভাষী বা মাতাল বা প্রবঞ্চক হয়, তবে তার সংসর্গে থাকতে নেই, এমন ব্যক্তির সঙ্গে আহারও করতে নেই।
12 বস্তুতঃ বাইরের লোকদের বিচারে আমার কাজ কি? ভিতরের লোকদের বিচার কি তোমরা কর না?
13 কিন্তু বাইরের লোকদের বিচার আল্লাহ্ করবেন। তোমরা নিজেদের মধ্য থেকে সেই দুষ্ট লোককে বের করে দাও।