5 তখন রাজা অহশ্বেরশ রাণী ইষ্টেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, “কে সে? সেই লোকটি কোথায়? এমন কাজ করতে কার সাহস হয়েছে?”
6 ইষ্টের বললেন, “সেই বিপক্ষ ও শত্রু হল এই দুষ্ট হামন।”তখন হামন রাজা ও রাণীর সামনে ভীষণ ভয় পেল।
7 রাজা রেগে গিয়ে আংগুর-রস রেখে উঠলেন এবং বের হয়ে রাজবাড়ীর বাগানে গেলেন। রাজা হামনের ভাগ্য ঠিক করে ফেলেছেন বুঝে সে রাণী ইষ্টেরের কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইবার জন্য সেখানে রইল।
8 রাজবাড়ীর বাগান থেকে রাজা ভোজের ঘরে ফিরে আসলেন আর তখন ইষ্টের যে আসনে হেলান দিয়ে বসে ছিলেন তার উপর হামন পড়ে ছিল।তখন রাজা চিৎকার করে বললেন, “এই লোকটা কি আমার সামনে রাণীর ইজ্জত নষ্ট করবে?”রাজার মুখ থেকে এই কথা বের হওয়া মাত্র লোকেরা হামনের মুখ ঢেকে ফেলল।
9 তখন হর্বোণা নামে রাজার একজন সেবাকারী বলল, “হামনের বাড়ীতে পঞ্চাশ হাত উঁচু একটা ফাঁসিকাঠ ঠিক করা আছে। মর্দখয়, যিনি রাজার প্রাণ রক্ষার জন্য খবর দিয়েছিলেন তাঁর জন্যই হামন ওটা তৈরী করেছিল।”রাজা বললেন, “ওটার উপরে ওকেই ফাঁসি দাও।”
10 কাজেই হামন যে ফাঁসিকাঠ মর্দখয়ের জন্য তৈরী করেছিল লোকেরা তার উপরে তাকেই ফাঁসি দিল। এর পর রাজার রাগ পড়ল।