3 আমি যখন দেখলাম তোমরা আমাকে সাহায্য করবে না তখন আমি আমার প্রাণ হাতে করে অম্মোনীয়দের সংগে যুদ্ধ করতে গেলাম আর সদাপ্রভুও আমাকে তাদের উপর জয়ী করলেন। এখন কেন তোমরা আমার সংগে যুদ্ধ করবার জন্য উপস্থিত হয়েছ?”
4 যিপ্তহ তখন গিলিয়দের সব লোকদের ডেকে জড়ো করে নিয়ে ইফ্রয়িমের লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলেন, কারণ ইফ্রয়িম-গোষ্ঠীর লোকেরা বলেছিল, “ওহে গিলিয়দীয়েরা, তোমরা তো ইফ্রয়িম ও মনঃশি-গোষ্ঠীর দল ত্যাগ করে আসা লোক।” সেই যুদ্ধে গিলিয়দীয়েরা তাদের হারিয়ে দিল।
5 যর্দন নদীর যে জায়গাগুলো হেঁটে পার হয়ে ইফ্রয়িম এলাকার দিকে যাওয়া যায় সেই জায়গাগুলো গিলিয়দীয়েরা দখল করে নিল। ইফ্রয়িম-গোষ্ঠীর বেঁচে থাকা কোন লোক যখন বলত, “আমাকে পার হতে দাও,” তখন গিলিয়দের লোকেরা তাকে জিজ্ঞাসা করত, “তুমি কি ইফ্রয়িমীয়?” উত্তরে সে যদি বলত, “না,”
6 তবে তারা বলত, “বেশ, তাহলে বল দেখি, ‘শিব্বোলেৎ।’ ” কথাটা ঠিক করে উচ্চারণ করতে না পেরে যদি সে বলত, “ছিব্বোলেৎ,” তবে তারা তাকে ধরে যর্দন নদীর ঐ হেঁটে পার হওয়ার জায়গাতেই মেরে ফেলত। এইভাবে সেই সময় বিয়াল্লিশ হাজার ইফ্রয়িমীয়কে মেরে ফেলা হয়েছিল।
7 গিলিয়দীয় যিপ্তহ ছয় বছর ইস্রায়েলীয়দের শাসনকর্তা ছিলেন। তিনি মারা গেলে পর তাঁকে গিলিয়দের একটা গ্রামে কবর দেওয়া হল।
8 যিপ্তহের পরে ইস্রায়েলীয়দের শাসনকর্তা হলেন বৈৎলেহম গ্রামের ইব্সন।
9 তাঁর ত্রিশজন ছেলে ও ত্রিশজন মেয়ে ছিল। তিনি নিজের বংশের বাইরে তাঁর মেয়েদের বিয়ে দিলেন এবং বংশের বাইরে থেকে তাঁর ছেলেদের বৌ হিসাবে ত্রিশজন যুবতী মেয়ে আনলেন। ইব্সন সাত বছর ইস্রায়েলীয়দের শাসনকর্তা ছিলেন।