13 উত্তরে তারা বলল, “আমরা তা করব না। আমরা কেবল তোমাকে বেঁধে তাদের হাতে তুলে দেব; সত্যিই আমরা তোমাকে মেরে ফেলব না।” এই বলে তারা তাঁকে দু’টা নতুন দড়ি দিয়ে বেঁধে পাহাড়ের কাছ থেকে নিয়ে চলল।
14 তিনি যখন লিহীর কাছে পৌঁছালেন তখন পলেষ্টীয়েরা জয়ধ্বনি করতে করতে তাঁর দিকে আসতে লাগল। তখন সদাপ্রভুর আত্মা পূর্ণ শক্তিতে তাঁর উপর আসলেন। তাতে তাঁর হাতের দড়িগুলো পুড়ে যাওয়া শনের মত হল এবং তাঁর হাতের বাঁধন খুলে পড়ে গেল।
15 তখন তিনি সদ্য মরা গাধার একটা চোয়াল পেয়ে সেটা হাতে নিলেন এবং তা দিয়ে এক হাজার লোককে মেরে ফেললেন।
16 শিম্শোন বললেন,“একটা গাধার চোয়াল দিয়েতাদের করলাম গাদা,একটা গাধার চোয়ালেহাজার পড়ল মারা।”
17 এই কথা বলা শেষ করে তিনি সেই চোয়ালটা ছুঁড়ে ফেলে দিলেন। তিনি ঐ জায়গাটার নাম দিলেন রামৎ-লিহী (যার মানে “চোয়াল-পাহাড়”)।
18 এর পর শিম্শোনের খুব পিপাসা পেল। তিনি সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করে বললেন, “তুমি তোমার দাসকে মহাজয় দান করেছ। এখন কি আমাকে পিপাসায় মরে এই সুন্নত-না-করানো লোকদের হাতে পড়তে হবে?”
19 তখন ঈশ্বর লিহীতে একটা গর্ত খুলে দিলেন এবং তার মধ্য থেকে জল বের হয়ে আসল। সেই জল খাবার পর শিম্শোনের শক্তি ফিরে আসল আর তিনি যেন প্রাণ ফিরে পেলেন। সেইজন্য ঐ ফোয়ারাটার নাম হল ঐন্-হক্কোরী (যার মানে “প্রার্থনাকারীর ফোয়ারা”)। ফোয়ারাটা এখনও লিহীতে আছে।