14 সেইজন্য সদাপ্রভু ক্রোধে লুটকারীদের হাতে ইস্রায়েলীয়দের তুলে দিতেন। তারা তাদের জিনিসপত্র লুট করে নিত। তাদের চারপাশের শত্রুদের হাতে তিনি তাদের তুলে দিতেন, কাজেই তারা শত্রুদের বিরুদ্ধে আর দাঁড়াতে পারত না।
15 ইস্রায়েলীয়েরা যখন যুদ্ধে যেত তখন সদাপ্রভু শপথ করে যে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন সেই অনুসারে তাঁর হাত তাদের অমংগলের জন্য তাদের বিরুদ্ধে থাকত, তাই তারা মহা বিপদের মধ্যে ছিল।
16 তখন সদাপ্রভু তাদের মধ্যে শাসনকর্তা দাঁড় করাতেন। তাঁরা লুটকারীদের হাত থেকে ইস্রায়েলীয়দের রক্ষা করতেন,
17 কিন্তু তবুও ইস্রায়েলীয়েরা এই শাসনকর্তাদের কথায় কান দিত না। সদাপ্রভুর প্রতি অবিশ্বস্ত হয়ে তারা দেব-দেবতাদের কাছে নিজেদের বিকিয়ে দিত এবং তাদের পূজা করত। তাদের পূর্বপুরুষেরা সদাপ্রভুর আদেশ পালন করে যে বাধ্যতার পথে চলতেন তারা সেই পথে না চলে অল্পকালের মধ্যেই সেই পথ থেকে সরে যেত।
18 সদাপ্রভু যখনই তাদের জন্য কোন শাসনকর্তা নিযুক্ত করতেন তখন তিনি তাঁর সংগে থাকতেন। সেই শাসনকর্তা যতদিন বেঁচে থাকতেন ততদিন পর্যন্ত সদাপ্রভু শত্রুদের হাত থেকে ইস্রায়েলীয়দের রক্ষা করতেন। অত্যাচারীদের হাতে যন্ত্রণা ও কষ্ট পেয়ে তারা যখন কান্নাকাটি করত তখন তাদের উপর সদাপ্রভুর দয়া হত।
19 কিন্তু সেই শাসনকর্তা মারা গেলে লোকেরা আবার দেব-দেবতার দিকে ঝুঁকে পড়ত এবং তাদের সেবা ও পূজা করে তাদের পূর্বপুরুষদের চেয়ে আরও জঘন্য পথে ফিরে যেত। তারা কিছুতেই তাদের মন্দ অভ্যাস আর একগুঁয়েমির পথ ছাড়ত না।
20 সেইজন্য সদাপ্রভু ইস্রায়েলীয়দের উপর ক্রোধে জ্বলে উঠে বললেন, “এই জাতির পূর্বপুরুষদের সময় আমি যে ব্যবস্থা স্থাপন করেছিলাম তা এরা পালন করে নি এবং আমার কথাও শোনে নি।