22 পরে ইস্রায়েলীয়েরা গিদিয়োনকে বলল, “আপনি মিদিয়নীয়দের হাত থেকে আমাদের উদ্ধার করেছেন, সেইজন্য আপনি ও আপনার বংশধরেরাই আমাদের শাসনকর্তা হন।”
23 গিদিয়োন তাদের বললেন, “আমরা কেউ তোমাদের শাসনকর্তা হব না- আমিও না, আমার ছেলেও না; সদাপ্রভুই হবেন তোমাদের শাসনকর্তা।”
24 তিনি আরও বললেন, “তবে আমার একটা অনুরোধ আছে। তোমাদের লুটের ভাগ থেকে তোমরা প্রত্যেকে আমাকে একটা করে কানের গহনা দাও।” তিনি এই কথা বললেন, কারণ মিদিয়নীয়েরা ছিল ইশ্মায়েলের বংশের লোক এবং তখনকার দিনে ইশ্মায়েলীয়দের কানে সোনার গহনা পরবার চল ছিল।
25 উত্তরে তারা বলল, “আমরা খুশী হয়েই তা দেব।” কাজেই তারা একটা কাপড় পাতল এবং প্রত্যেকে তার লুটের জিনিস থেকে তার উপর একটা করে কানের গহনা ফেলল।
26 তাতে যে পরিমাণ সোনা তিনি পেলেন তার ওজন গিয়ে দাঁড়াল প্রায় বিশ কেজি পাঁচশো গ্রাম। এছাড়া তাঁর পাওয়া চন্দ্রহার, পদক, মিদিয়নীয় রাজাদের পরনের বেগুনে পোশাক কিম্বা উটের গলার হার এর মধ্যে ধরা হয় নি।
27 গিদিয়োন সেই সব সোনা দিয়ে একটা এফোদ তৈরী করে তাঁর নিজের গ্রাম অফ্রাতে রাখলেন। ইস্রায়েলীয়েরা সকলে সেখানে সদাপ্রভুর প্রতি অবিশ্বস্ত হয়ে এফোদের পূজায় নিজেদের বিকিয়ে দিল। সেটাই হয়ে দাঁড়াল গিদিয়োন ও তাঁর পরিবারের জন্য একটা ফাঁদ।
28 এইভাবেই ইস্রায়েলীয়েরা মিদিয়নীয়দের দমন করে রাখল; তারা আর মাথা তুলতে পারল না। গিদিয়োনের জীবনের বাকী চল্লিশ বছর দেশে শান্তি ছিল।