14 “ভবিষ্যতে যখন তোমাদের ছেলেরা এর মানে তোমাদের জিজ্ঞাসা করবে তখন তোমরা প্রত্যেকে বলবে, ‘সদাপ্রভু মিসরের গোলামীর হাত থেকে তাঁর শক্তি দেখিয়ে আমাদের বের করে এনেছিলেন।
15 ফরৌণ একগুঁয়েমি করে যখন আমাদের আসতে দিচ্ছিল না তখন সদাপ্রভু মিসর দেশের মানুষ ও পশুর প্রত্যেকটি প্রথম পুরুষ সন্তানকে মেরে ফেলেছিলেন। সেইজন্য আমি আমার পশুর প্রত্যেকটা প্রথম পুরুষ বাচ্চা সদাপ্রভুর উদ্দেশে উৎসর্গ করছি এবং আমার প্রথম ছেলেকে ছাড়িয়ে নিচ্ছি।
16 এটা এমন একটা চিহ্ন হবে যা হাত ও কপালের স্মরণ-চিহ্নের মত তোমাকে মনে করিয়ে দেবে যে, সদাপ্রভু তাঁর শক্তি দেখিয়ে মিসর থেকে আমাদের বের করে এনেছিলেন।’ ”
17 ফরৌণ যখন ইস্রায়েলীয়দের বিদায় করে দিলেন তখন ঈশ্বর তাদের পলেষ্টীয়দের দেশের মধ্য দিয়ে নিয়ে গেলেন না, যদিও সেটাই ছিল সবচেয়ে সোজা পথ। ঈশ্বর বলেছিলেন সেই দেশের মধ্য দিয়ে যাবার সময়ে যদি তারা যুদ্ধ করবার অবস্থায় পড়ে তবে হয়তো মন বদলিয়ে তারা আবার মিসর দেশে ফিরে যাবে।
18 সেইজন্য ঈশ্বর তাদের মরু-এলাকার মধ্য দিয়ে লোহিত সাগরের দিকে নিয়ে চললেন। ইস্রায়েলীয়েরা সৈন্যদলের মত করে মিসর দেশ থেকে বের হয়ে গেল।
19 মোশি যোষেফের হাড়গুলো সংগে নিলেন, কারণ এই ব্যাপারে যোষেফ ইস্রায়েলীয়দের শপথ করিয়ে নিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “ঈশ্বর নিশ্চয়ই তোমাদের দেখাশোনা করবেন। এখান থেকে যাবার সময় তোমরা আমার হাড়গুলো তুলে সংগে করে নিয়ে যেয়ো।”
20 এর পর তারা সুক্কোৎ শহর থেকে যাত্রা শুরু করে মরু-এলাকার কিনারায় এথম নামে এক জায়গায় গিয়ে তাদের ছাউনি ফেলল।