15 এর পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি আমার কাছে কান্নাকাটি করছ কেন? ইস্রায়েলীয়দের এগিয়ে যেতে বল।
16 তুমি তোমার লাঠিটা তুলে নাও এবং সমুদ্রের উপর তোমার হাত বাড়িয়ে দিয়ে সমুদ্রকে দু’ভাগ কর। তাতে সমুদ্রের মধ্যে শুকনা জমির উপর দিয়ে ইস্রায়েলীয়েরা হেঁটে চলে যাবে।
17 কিন্তু আমি মিসরীয়দের মন এমন কঠিন করব যে, তারা ইস্রায়েলীয়দের পিছনে পিছনে সমুদ্রের মধ্যে ঢুকে যাবে। এতে ফরৌণ ও তার সমস্ত সৈন্যদল, রথ ও ঘোড়সওয়ার আমার গৌরব প্রকাশের উপায় হবে।
18 তা দেখে মিসরীয়েরা বুঝতে পারবে যে, আমিই সদাপ্রভু।”
19-20 তখন ঈশ্বরের দূত যিনি ইস্রায়েলীয় দলের আগে আগে যাচ্ছিলেন তিনি ঘুরে তাদের পিছনে চলে গেলেন। মেঘের থামটাও তাদের সামনে থেকে পিছনে সরে গিয়ে ইস্রায়েলীয় ও মিসরীয়দের দলের মাঝামাঝি দাঁড়াল। তাতে মিসরীয়দের দিকটা হয়ে রইল মেঘলা ও অন্ধকারে ঢাকা আর ইস্রায়েলীয়দের দিকটা রাতের বেলায়ও হয়ে রইল আলোময়। এতে সারা রাতের মধ্যে মিসরীয়েরা ইস্রায়েলীয়দের কাছে আসতে পারল না।
21 পরে মোশি সমুদ্রের উপরে তাঁর হাত বাড়িয়ে দিলেন; আর সদাপ্রভু সারা রাত ধরে একটা পূবের বাতাস জোরে বইয়ে সমুদ্রের জল দু’পাশে সরিয়ে দিলেন। তিনি জলকে দু’ভাগ করে সমুদ্রের মধ্য দিয়ে একটা শুকনা পথ তৈরী করলেন।
22 ইস্রায়েলীয়েরা সমুদ্রের মাঝখান দিয়ে শুকনা মাটির পথ ধরে হেঁটে চলল। তাদের ডানে বাঁয়ে সমুদ্রের জল দেয়ালের মত হয়ে দু’পাশে দাঁড়িয়ে রইল।