11 পরে বড় হয়ে মোশি একদিন তাঁর নিজের জাতির লোকদের সংগে দেখা করতে গিয়ে দেখলেন, কি ভীষণ পরিশ্রম তাদের করতে হচ্ছে। তাঁর চোখে পড়ল যে, তাঁর নিজের ইব্রীয় জাতির একজন লোককে একজন মিসরীয় মারধর করছে।
12 তিনি এদিক ওদিক তাকিয়ে আশেপাশে কাউকে দেখতে পেলেন না। তখন তিনি সেই মিসরীয়কে মেরে ফেলে বালি চাপা দিয়ে রাখলেন।
13 পরদিন তিনি আবার বাইরে গিয়ে দু’জন ইব্রীয়কে মারামারি করতে দেখলেন। যে দোষী তাকে তিনি বললেন, “কেন তুমি তোমার ভাইকে মারছ? ”
14 লোকটি বলল, “কে তোমাকে আমাদের নেতা ও শাসনকর্তা করেছে? সেই মিসরীয়ের মত আমাকেও মেরে ফেলতে চাও নাকি? ” এই কথা শুনে মোশি ভয় পেলেন। তিনি ভাবলেন, নিশ্চয়ই ব্যাপারটা জানাজানি হয়ে গেছে।
15 ফরৌণ এই ঘটনা জানতে পেরে মোশিকে মেরে ফেলবার চেষ্টা করতে লাগলেন। কিন্তু মোশি ফরৌণের কাছ থেকে পালিয়ে মিদিয়ন দেশে বাস করবার জন্য চলে গেলেন। সেখানে গিয়ে তিনি একটা কূয়ার ধারে বসে রইলেন।
16 সেখানকার মিদিয়নীয় পুরোহিতের সাতটি মেয়ে ছিল। তারা তাদের বাবার ভেড়াগুলোকে জল খাওয়াবার জন্য জল তুলে গামলা ভরতে সেই জায়গায় গেল।
17 কিন্তু কয়েকজন রাখাল এসে কূয়ার কাছ থেকে সেই মেয়েদের তাড়িয়ে দিল। এই ব্যাপার দেখে মোশি উঠে তাদের সাহায্য করলেন এবং তাদের ভেড়াগুলোকে জল খেতে দিলেন।