14 লোকেরা সেগুলো এনে নানা জায়গায় জড়ো করল আর তাতে দেশের মধ্যে এক ভীষণ দুর্গন্ধের সৃষ্টি হল।
15 কিন্তু ব্যাঙের উৎপাত থেকে রেহাই পেয়ে ফরৌণ আবার তাঁর মন শক্ত করে মোশি ও হারোণের কথা শুনলেন না। সদাপ্রভু যা বলেছিলেন তা-ই হল।
16 তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “হারোণকে তার লাঠি তুলে মাটিতে ধূলার উপর আঘাত করতে বল। তাতে সেই ধূলা মশা হয়ে সারা মিসর দেশটা ছেয়ে ফেলবে।”
17 হারোণ ও মোশি তা-ই করলেন। হারোণ তাঁর হাতখানা বাড়িয়ে লাঠি দিয়ে মাটিতে ধূলার উপর আঘাত করলেন আর তাতে মানুষ ও পশুর উপর মশার উৎপাত দেখা দিল। মিসর দেশের সমস্ত ধূলাই মশা হয়ে গেল।
18 যাদুকরেরা তাদের যাদুমন্ত্রের জোরে মশা নিয়ে আসবার চেষ্টা করল কিন্তু পারল না। মানুষ এবং পশুর উপর মশা বসতে লাগল।
19 এই অবস্থা দেখে যাদুকরেরা ফরৌণকে বলল, “এতে ঈশ্বরের আংগুলের ছোঁয়া রয়েছে।” কিন্তু তবুও ফরৌণের মন কঠিনই রয়ে গেল; তিনি মোশি ও হারোণের কথায় কান দিলেন না। সদাপ্রভু যা বলেছিলেন তা-ই হল।
20 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি খুব ভোরে উঠবে এবং ফরৌণ যখন বাইরে নদীর ঘাটে যাবে তখন তুমি তার সামনে গিয়ে দাঁড়াবে। তাকে বলবে যে, সদাপ্রভু বলছেন, ‘আমার উপাসনা করবার জন্য আমার লোকদের যেতে দাও।