7 সদাপ্রভু যখন দেখলেন যে, তাঁরা নিজেদের নত করেছেন তখন তিনি শময়িয়কে বললেন, “তারা নিজেদের নত করেছে বলে আমি তাদের ধ্বংস না করে শাস্তির হাত থেকে কিছুটা রেহাই দেব। আমার ক্রোধ শীশকের মধ্য দিয়ে যিরূশালেমের উপর ঢেলে দেওয়া হবে না,
8 কিন্তু তারা তার অধীন হবে। এতে তারা আমার সেবা করবার ও অন্যান্য দেশের রাজাদের সেবা করবার মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে তা বুঝতে পারবে।”
9 মিসরের রাজা শীশক যিরূশালেম আক্রমণ করে সদাপ্রভুর ঘরের ও রাজবাড়ীর সমস্ত ধন-দৌলত নিয়ে চলে গেলেন। তিনি সব কিছুই নিয়ে গেলেন, এমন কি, শলোমনের তৈরী সোনার ঢালগুলোও নিয়ে গেলেন।
10 কাজেই রাজা রহবিয়াম সেগুলোর বদলে ব্রোঞ্জের ঢাল তৈরী করালেন। রাজবাড়ীর দরজায় যে সব সৈন্যেরা পাহারা দিত তাদের সেনাপতিদের কাছে তিনি সেগুলো রক্ষা করবার ভার দিলেন।
11 রাজা যখন সদাপ্রভুর ঘরে যেতেন তখন পাহারাদার সৈন্যেরা সেই ঢালগুলো নিয়ে তাঁর সংগে যেত এবং পরে তারা সেগুলো পাহারা-ঘরে জমা দিত।
12 রহবিয়াম নিজেকে নত করেছিলেন বলে তাঁর উপর সদাপ্রভুর যে ক্রোধ ছিল তা থেমে গেল এবং তাঁর সর্বনাশ হল না। তখনও যিহূদার মধ্যে কিছু ভাল ছিল।
13 রাজা রহবিয়াম যিরূশালেমে নিজেকে শক্তভাবে প্রতিষ্ঠা করে রাজত্ব করেছিলেন। তিনি যখন রাজা হয়েছিলেন তখন তাঁর বয়স ছিল একচল্লিশ। ইস্রায়েলের গোষ্ঠীগুলোর সমস্ত জায়গার মধ্য থেকে যে শহরটা সদাপ্রভু নিজের বাসস্থান হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন সেই যিরূশালেম শহরে রহবিয়াম সতেরো বছর রাজত্ব করেছিলেন। রহবিয়ামের মায়ের নাম ছিল নয়মা; তিনি ছিলেন অম্মোনীয়া।