11 তারপর যিহোয়াদা ও তাঁর ছেলেরা রাজার ছেলেকে বের করে এনে তাঁর মাথায় মুকুট পরিয়ে দিলেন। তাঁরা তাঁর হাতে ব্যবস্থার বইখানা দিলেন এবং তাঁকে রাজা হিসাবে অভিষেক করলেন। তখন লোকেরা চিৎকার করে বলল, “রাজা চিরজীবী হোন।”
12 লোকদের দৌড়াদৌড়ি ও রাজার প্রশংসা করবার আওয়াজ শুনে অথলিয়া সদাপ্রভুর ঘরে তাদের কাছে গেলেন।
13 তিনি দেখলেন, সদাপ্রভুর ঘরে ঢুকবার পথে রাজা তাঁর থামের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন এবং সেনাপতিরা ও তূরী বাদকেরা রাজার পাশে রয়েছে। দেশের সব লোক আনন্দ করছে ও তূরী বাজাচ্ছে আর গায়কেরা বাজনা বাজিয়ে প্রশংসা-গান করছে। এ দেখে অথলিয়া তাঁর পোশাক ছিঁড়ে চিৎকার করে বললেন, “এ তো বিশ্বাসঘাতকতা! বিশ্বাসঘাতকতা!”
14 তখন পুরোহিত যিহোয়াদা সৈন্যদলের উপরে নিযুক্ত শত-সেনাপতিদের বাইরে এনে বললেন, “ওঁকে সৈন্যদের সারির মাঝখানে রেখে এখান থেকে বের করে নিয়ে যান। যে তাঁর পিছনে পিছনে আসবে তাকে মেরে ফেলবেন।” এর আগে তিনি আদেশ দিয়েছিলেন যে, সদাপ্রভুর ঘরের মধ্যে অথলিয়াকে মেরে ফেলা উচিত হবে না।
15 কাজেই তাঁরা অথলিয়াকে ধরলেন এবং রাজবাড়ীর ঘোড়া-ফটকে ঢুকবার পথে নিয়ে গিয়ে তাঁকে মেরে ফেললেন।
16 তারপর যিহোয়াদা, রাজা ও লোকেরা মিলে এই চুক্তি করলেন যে, তাঁরা সদাপ্রভুর লোক হিসাবে চলবেন।
17 তারপর সব লোক বাল দেবতার মন্দিরে গিয়ে সেটা ভেংগে ফেলল। তারা বেদী ও মূর্তিগুলো চুরমার করে দিল এবং বেদীগুলোর সামনে বাল দেবতার পুরোহিত মত্তনকে মেরে ফেলল।