18-20 যোয়াব লোক পাঠিয়ে যুদ্ধের সমস্ত খবর দায়ূদকে দিলেন। যাকে দিয়ে খবর পাঠানো হচ্ছিল যোয়াব তাকে বললেন, “যুদ্ধের এই খবর রাজার কাছে দিলে পর রাজা হয়তো রাগে জ্বলে উঠে তোমাকে বলবেন, ‘যুদ্ধ করবার জন্য কেন তোমরা শহরের এত কাছে গিয়েছিলে? দেয়ালের উপর থেকে তারা যে তীর ছুঁড়বে তা কি তোমরা জানতে না?
21 কে যিরূব্বেশতের ছেলে অবীমেলককে মেরে ফেলেছিল? একজন স্ত্রীলোক দেয়ালের উপর থেকে যাঁতার উপরের পাথরটা তার উপর ফেলেছিল আর তাতেই তিনি তেবেষে মারা গিয়েছিলেন। কেন তোমরা দেয়ালের এত কাছে গিয়েছিলে?’ যদি তিনি সেই কথা তোমাকে বলেন তবে তুমি তাঁকে বলবে যে, তাঁর দাস হিত্তীয় ঊরিয় মারা গেছে।”
22 সেই লোকটি তখন রওনা হয়ে গেল এবং দায়ূদের কাছে পৌঁছে যোয়াব তাকে যা বলতে পাঠিয়েছিলেন তা বলল।
23 দায়ূদকে সে বলল, “লোকগুলো প্রথমে আমাদের চেয়ে বেশী শক্তিশালী হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে খোলা মাঠে বের হয়ে এসেছিল, কিন্তু আমরা তাদের তাড়া করতে করতে শহরের ফটক পর্যন্ত গিয়েছিলাম।
24 এতে ধনুকধারীরা দেয়ালের উপর থেকে আপনার দাসদের উপর তীর ছুঁড়তে লাগল। তাতে রাজার কিছু লোক মারা পড়েছে। আপনার দাস হিত্তীয় ঊরিয়ও মারা পড়েছে।”
25 দায়ূদ তাকে বললেন, “তুমি যোয়াবকে বলবে সে যেন এতে মন খারাপ না করে, কারণ যুদ্ধের সময় তলোয়ার কাউকেই বাদ দেয় না। শহরটার বিরুদ্ধে আরও ভীষণভাবে যুদ্ধ করে সে যেন সেটা একেবারে ধ্বংস করে ফেলে। এই কথা তুমি যোয়াবকে বলে তাকে উৎসাহ দেবে।”
26 এদিকে ঊরিয়ের স্ত্রী তার স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনে শোক করতে লাগল।