14 কিন্তু এই কাজ করে আপনি সদাপ্রভুর শত্রুদের তাঁকে নিন্দা করবার একটা বড় সুযোগ করে দিয়েছেন। সেইজন্য আপনার যে ছেলেটি জন্মেছে সে অবশ্যই মারা যাবে।”
15 নাথন নিজের বাড়ীতে ফিরে গেলেন। পরে ঊরিয়ের স্ত্রীর গর্ভে দায়ূদের যে ছেলেটির জন্ম হয়েছিল সদাপ্রভুর আঘাতে সে ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়ল।
16 তখন দায়ূদ ছেলেটির জন্য ঈশ্বরের কাছে মিনতি করতে লাগলেন। তিনি উপবাস করলেন এবং তাঁর ঘরে গিয়ে মাটিতে শুয়ে রাত কাটাতে লাগলেন।
17 রাজবাড়ীর উঁচু পদের কর্মচারীরা তাঁকে মাটি থেকে উঠাবার জন্য তাঁর কাছে গেলেন, কিন্তু তিনি রাজী হলেন না এবং তাঁদের সংগে খাওয়া-দাওয়াও করলেন না।
18 অসুখের সাত দিনের দিন ছেলেটি মারা গেল। ছেলেটি যে মারা গেছে সেই কথা দায়ূদকে জানাতে তাঁর সেই কর্মচারীদের সাহস হল না। তাঁরা বললেন, “ছেলেটি যখন বেঁচে ছিল তখন আমরা তাঁকে বললেও তিনি আমাদের কথা কানে তোলেন নি। এখন আমরা কেমন করে বলব যে, ছেলেটি মারা গেছে? বললে হয়তো তিনি নিজের কোন ক্ষতি করে বসবেন।”
19 কর্মচারীদের মধ্যে এই কানাকানি দেখে দায়ূদ বুঝতে পারলেন যে, ছেলেটি মারা গেছে। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, “ছেলেটি কি মারা গেছে?”উত্তরে তাঁরা বললেন, “হ্যাঁ, মারা গেছে।”
20 দায়ূদ তখন মাটি থেকে উঠে স্নান করে তেল মাখলেন এবং কাপড়-চোপড় বদলে তিনি সদাপ্রভুর ঘরে গিয়ে মাটিতে উবুড় হয়ে পড়ে তাঁকে ভক্তি জানালেন। তারপর নিজের ঘরে ফিরে এসে খাবার আনবার হুকুম দিলেন। পরে তাঁর সামনে খাবার রাখা হলে তিনি খেলেন।