26 অবশালোম তখন রাজাকে বলল, “যদি আপনি না-ই যান তবে আমার ভাই অম্নোনকে আমাদের সংগে যেতে দিন।”রাজা তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “কেন সে তোমাদের সংগে যাবে?”
27 কিন্তু অবশালোম পীড়াপীড়ি করলে তিনি অম্নোনকে এবং তার সংগে সব রাজপুত্রদের পাঠিয়ে দিলেন।
28 অবশালোম তার লোকদের এই আদেশ দিল, “দেখ, আংগুর-রস খেয়ে যখন অম্নোনের মন বেশ খুশী হয়ে উঠবে তখন আমি তোমাদের বলব, ‘অম্নোনকে মার,’ আর তোমরা তাকে মেরে ফেলবে। তোমরা ভয় কোরো না। আমিই তো তোমাদের সেই আদেশ দিচ্ছি। তোমরা সাহস কর ও শক্তিশালী হও।”
29 কাজেই অবশালোমের আদেশ অনুসারেই তার লোকেরা অম্নোনকে মেরে ফেলল। এই ঘটনা দেখে রাজার আর সব ছেলেরা যে যার খচ্চরে চড়ে পালিয়ে গেল।
30 তারা পথে থাকতেই দায়ূদের কানে এই খবর আসল যে, অবশালোম রাজার সব ছেলেদের মেরে ফেলেছে, তাদের একজনও বেঁচে নেই।
31 এই কথা শুনে রাজা উঠে দাঁড়িয়ে নিজের কাপড় ছিঁড়ে মাটিতে শুয়ে পড়লেন। তাঁর কর্মচারীরা সবাই নিজের নিজের কাপড় ছিঁড়ে তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে রইল।
32 কিন্তু দায়ূদের ভাই শিমিয়ের ছেলে যোনাদব বলল, “আমার প্রভু মনে করবেন না যে, সব রাজপুত্রদেরই মেরে ফেলা হয়েছে; কেবল অম্নোনকে মারা হয়েছে। এর কারণ হল, যেদিন সে অবশালোমের বোন তামরের ইজ্জত নষ্ট করেছে সেই দিন থেকে অবশালোম এটাই ঠিক করে রেখেছিল।