10 রাজা বললেন, “যদি কেউ তোমাকে কিছু বলে থাকে তুমি তাকে আমার কাছে নিয়ে আসবে; তাহলে সে তোমাকে আর কষ্ট দেবে না।”
11 স্ত্রীলোকটি বলল, “মহারাজ তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুর নামে দিব্য করুন যেন রক্তের প্রতিশোধ গ্রহণকারী আর সর্বনাশ না করে। তা না হলে সে আমার ছেলেকে মেরে ফেলবে।”রাজা বললেন, “জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্য, তোমার ছেলের একটা চুলও মাটিতে পড়বে না।”
12 তখন স্ত্রীলোকটি বলল, “আমাকে আমার প্রভু মহারাজের কাছে একটা কথা বলতে দিন।”তিনি বললেন, “বল।”
13 স্ত্রীলোকটি বলল, “তাহলে আপনি ঈশ্বরের লোকদের বিরুদ্ধে সেই রকম একটা কাজ করবার মতলব করেছেন কেন? মহারাজ যখন এই রকম কথা বলেন তখন কি তিনি নিজেকেই দোষী করছেন না? তিনি তো দেশ থেকে বের করে দেওয়া তাঁর ছেলেটিকে ফিরিয়ে আনছেন না।
14 মাটিতে জল ঢাললে যেমন তা আর তুলে নেওয়া যায় না সেইভাবেই তো আমরা মরব। ঈশ্বর কিন্তু প্রাণ কেড়ে নেন না বরং তিনি এমন ব্যবস্থা করেন যাতে দূর করে দেওয়া লোক তাঁর কাছ থেকে দূরে না থাকে।
15 “লোকেরা আমাকে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল বলে আমার প্রভু মহারাজকে আমি এই কথা বলতে এসেছি। আমি ভেবেছিলাম যে, আমি রাজার সংগে কথা বলে দেখব; হয়তো তিনি আমার কথা শুনবেন।
16 আমাকে ও আমার ছেলেকে ঈশ্বরের সম্পত্তি থেকে, অর্থাৎ তাঁর নিজের লোকদের মধ্য থেকে সরিয়ে ফেলবার জন্য যে লোকটি চেষ্টা করছে তার হাত থেকে মহারাজ হয়তো আমাকে উদ্ধার করতে রাজী হবেন।