23 যোয়াব ও তাঁর সংগের সৈন্যেরা ফিরে আসলে পর লোকেরা যোয়াবকে বলল যে, নেরের ছেলে অব্নের রাজার কাছে এসেছিলেন এবং রাজা তাঁকে বিদায় করে দিয়েছেন এবং তিনি শান্তিতে চলে গেছেন।
24 যোয়াব তখন রাজার কাছে গিয়ে বললেন, “এ আপনি কি করলেন? অব্নের তো আপনার কাছে এসেছিল, আপনি কেন তাকে চলে যেতে দিলেন? সে এখন চলে গেছে।
25 আপনি তো নেরের ছেলে অব্নেরকে জানেন; সে আপনার সংগে ছলনা করে আপনার খোঁজ খবর নিতে এবং আপনি কি করছেন না করছেন তা জানতে এসেছিল।”
26 এই বলে যোয়াব দায়ূদের কাছ থেকে বের হয়ে গিয়ে অব্নেরের খোঁজে লোক পাঠালেন। তারা সিরা নামে একটা কূয়ার কাছ থেকে তাঁকে ফিরিয়ে আনল। দায়ূদ কিন্তু এই সব জানতেন না।
27 অব্নের হিব্রোণে ফিরে আসলে পর যোয়াব তাঁর সংগে গোপনে আলাপ করবার ছল করে শহরের ফটকের মধ্যে নিয়ে গেলেন। তারপর তাঁর পেটে আঘাত করে তাঁকে মেরে ফেললেন। এইভাবে তিনি তাঁর ভাই অসাহেলের রক্তের শোধ নিলেন।
28-30 যোয়াব ও তাঁর ভাই অবীশয় অব্নেরকে মেরে ফেললেন, কারণ তিনি তাঁদের ভাই অসাহেলকে গিবিয়োনের যুদ্ধে মেরে ফেলেছিলেন।পরে দায়ূদ সেই খবর পেয়ে বললেন, “নেরের ছেলে অব্নেরের রক্তপাতের ব্যাপারে আমি ও আমার রাজ্য সদাপ্রভুর সামনে চিরদিনের জন্য নির্দোষ। যোয়াব ও তাঁর বাবার বংশের সকলেই যেন সেই রক্তের দায়ী হয়। যোয়াবের বংশে সব সময় যেন কেউ না কেউ পুরুষাংগের স্রাব কিম্বা চর্মরোগে ভোগে, কেউ লাঠিতে ভর দিয়ে চলে, কেউ খুন হয় কিম্বা কেউ খাবারের অভাবে কষ্ট পায়।”
31 এর পর দায়ূদ যোয়াব ও তাঁর সংগের সব লোকদের বললেন, “তোমরা নিজের নিজের কাপড় ছিঁড়ে চট পর এবং শোক প্রকাশ করতে করতে অব্নেরের মৃতদেহের আগে আগে চল।” মৃতদেহ বহনকারী খাটের পিছনে পিছনে রাজা দায়ূদ নিজেও চললেন।