11 পরে আমরা ত্রোয়া ছেড়ে জাহাজে করে সোজা সামথ্রাকী দ্বীপে গেলাম এবং পরের দিন নিয়াপলি শহরে আসলাম।
12 সেখান থেকে আমরা ফিলিপী শহরে গেলাম। এই ফিলিপীই ম্যাসিডোনিয়ার সেই এলাকার প্রধান শহর। সেখানকার লোকেরা রোম রাজ্যের প্রজা ছিল। আমরা কিছু দিন সেই শহরে রইলাম।
13 বিশ্রামবারে আমরা শহরের ফটকের বাইরে নদীর কাছে গেলাম; মনে করলাম সেখানে যিহূদীদের প্রার্থনা করবার জায়গা আছে। সেখানে যে স্ত্রীলোকেরা মিলিত হয়েছিলেন আমরা তাঁদের কাছে বসে কথা বলতে লাগলাম।
14 যাঁরা শুনছিলেন তাঁদের মধ্যে থুয়াতীরা শহরের লুদিয়া নামে একজন স্ত্রীলোক ছিলেন। তিনি বেগুনী রংয়ের কাপড়ের ব্যবসা করতেন। যিহূদী না হলেও তিনি ঈশ্বরের উপাসনা করতেন। প্রভু লুদিয়ার অন্তর এমনভাবে খুলে দিলেন যাতে তিনি পৌলের কথা মন দিয়ে শুনে বিশ্বাস করেন।
15 এতে তিনি ও তাঁর বাড়ীর সকলে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করলেন। এর পরে তিনি এই বলে আমাদের নিমন্ত্রণ করলেন, “যদি আমাকে আপনারা প্রভুর উপর বিশ্বাসী বলে মনে করেন তবে আমার বাড়ীতে এসে থাকুন।” এই কথা বলে তিনি আমাদের সাধাসাধি করে তাঁর বাড়ীতে নিয়ে গেলেন।
16 একদিন যখন আমরা সেই প্রার্থনার জায়গায় যাচ্ছিলাম তখন একজন দাসীর সংগে আমাদের দেখা হল। তাকে একটা মন্দ আত্মায় পেয়েছিল যার ফলে সে ভবিষ্যতের কথা বলতে পারত। তাতে তার মনিবদের লাভ হত।
17 সেই মেয়েটি পৌল এবং আমাদের পিছনে যেতে যেতে চিৎকার করে বলত, “এই লোকেরা মহান ঈশ্বরের দাস। কি করে পাপ থেকে উদ্ধার পাওয়া যায় এঁরা তা- ই আপনাদের কাছে বলছেন।”