28 যীশুকে দেখে সে চিৎকার করে উঠল এবং তাঁর সামনে মাটিতে পড়ে জোরে জোরে বলল, “মহান ঈশ্বরের পুত্র যীশু, আমার সংগে আপনার কি সম্বন্ধ? দয়া করে আপনি আমাকে যন্ত্রণা দেবেন না।”
29 লোকটি এই কথা বলল কারণ যীশু সেই মন্দ আত্মাকে তার মধ্য থেকে বের হয়ে যেতে আদেশ দিয়েছিলেন। সেই মন্দ আত্মা বার বার করে লোকটিকে আঁকড়ে ধরত। যদিও তখন তার হাত-পা শিকল দিয়ে বাঁধা থাকত এবং তাকে পাহারা দেওয়া হত তবুও সে সেই শিকল ছিঁড়ে ফেলত, আর সেই মন্দ আত্মা তাকে নির্জন জায়গায় তাড়িয়ে নিয়ে যেত।
30 যীশু তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার নাম কি?”সে বলল, “বাহিনী,” কারণ অনেকগুলো মন্দ আত্মা তার ভিতরে ঢুকেছিল।
31 তখন সেই আত্মাগুলো যীশুকে কাকুতি-মিনতি করতে লাগল যেন তিনি তাদের অতল গর্তে না পাঠান।
32-33 সেখানে পাহাড়ের ধারে খুব বড় এক পাল শূকর চরছিল। মন্দ আত্মাগুলো যীশুকে অনুরোধ করল যেন তিনি সেই শূকরগুলোর ভিতরে ঢুকতে তাদের অনুমতি দেন। তিনি অনুমতি দিলে পর তারা লোকটির মধ্য থেকে বের হয়ে শূকরগুলোর ভিতরে ঢুকল। তাতে সেই শূকরের পাল সাগরের ঢালু পার দিয়ে জোরে দৌড়ে গিয়ে জলে ডুবে মরল।
34 যারা শূকর চরাচ্ছিল তারা এই ঘটনা দেখে দৌড়ে গিয়ে সেই গ্রামে ও তার আশেপাশের সব জায়গায় এই খবর দিল।
35 কি হয়েছে তা দেখবার জন্য তখন লোকেরা বের হয়ে আসল। যীশুর কাছে এসে তারা দেখল, যার মধ্য থেকে মন্দ আত্মাগুলো বের হয়ে গেছে সে কাপড়-চোপড় পরে সুস্থ মনে যীশুর পায়ের কাছে বসে আছে। এ দেখে তারা ভয় পেল।