26 কাছের ও দূরের একের পর এক উত্তরের সব রাজাদের। মোট কথা, আমি পৃথিবীর সমস্ত জাতিদের তা খাওয়ালাম। এদের সকলের পরে শেশকের, অর্থাৎ বাবিলের রাজাও তা খাবে।
27 তারপর সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “তাদের বল যে, ইস্রায়েলের ঈশ্বর সর্বক্ষমতার অধিকারী সদাপ্রভু বলছেন, ‘আমি তোমাদের মধ্যে যুদ্ধ পাঠাচ্ছি; তোমরা আমার ক্রোধের পেয়ালা থেকে খাও, মাতাল হও, বমি কর, পড়ে যাও এবং আর উঠো না।’
28 কিন্তু তারা যদি তোমার হাত থেকে পেয়ালা নিয়ে খেতে অস্বীকার করে তবে তাদের বলবে যে, সর্বক্ষমতার অধিকারী সদাপ্রভু বলছেন, ‘তোমাদের খেতেই হবে।
29 দেখ, আমার নিজের শহরকেই আমি প্রথমে ধ্বংস করতে যাচ্ছি, তাহলে তোমরা কি শাস্তি না পেয়েই থাকবে? তোমরা শাস্তি পাবেই পাবে, কারণ পৃথিবীর সব লোকদের বিরুদ্ধে আমি যুদ্ধ ডেকে আনছি। আমি সর্বক্ষমতার অধিকারী সদাপ্রভু এই কথা বলছি।’
30 “এখন তুমি তাদের বিরুদ্ধে নবী হিসাবে এই সব কথা বল, ‘সদাপ্রভু উপর থেকে গর্জন করবেন; তাঁর পবিত্র বাসস্থান থেকে তিনি তাঁর গলার স্বর শোনাবেন এবং তাঁর দেশের বিরুদ্ধে খুব জোরে গর্জন করবেন। যারা আংগুর মাড়াই করে তাদের মতই তিনি পৃৃথিবীতে বাসকারী সকলের বিরুদ্ধে চিৎকার করবেন।
31 পৃথিবীর শেষ সীমা পর্যন্ত সেই শব্দ শোনা যাবে, কারণ সদাপ্রভু জাতিদের বিরুদ্ধে নালিশ আনবেন। তিনি সমস্ত মানুষের বিচার করবেন এবং তলোয়ারের হাতে দুষ্টদের তুলে দেবেন।’ ”
32 সর্বক্ষমতার অধিকারী সদাপ্রভু বলছেন, “দেখ, এক জাতি থেকে আর এক জাতিতে বিপদ ছড়িয়ে পড়ছে; পৃথিবীর শেষ সীমা থেকে একটা ভীষণ ঝড় উঠছে।”