1 পরে বাপ্তিস্মদাতা যোহন যিহূদিয়ার মরু-এলাকায় এসে এই বলে প্রচার করতে লাগলেন,
2 “পাপ থেকে মন ফিরাও, কারণ স্বর্গ-রাজ্য কাছে এসে গেছে।”
3 এই যোহনের বিষয়েই নবী যিশাইয় বলেছিলেন,মরু-এলাকায় একজনের কণ্ঠস্বর চিৎকার করে জানাচ্ছে,“তোমরা প্রভুর পথ ঠিক কর;তাঁর রাস্তা সোজা কর।”
4 যোহন উটের লোমের কাপড় পরতেন এবং তাঁর কোমরে চামড়ার কোমর-বাঁধনি ছিল। তিনি পংগপাল ও বনমধু খেতেন।
5 যিরূশালেম, সমস্ত যিহূদিয়া এবং যর্দন নদীর চারপাশের লোকেরা সেই সময় তাঁর কাছে আসতে লাগল।
6 এই লোকেরা যখন নিজেদের পাপ স্বীকার করল তখন যোহন যর্দন নদীতে তাদের বাপ্তিস্ম দিলেন।
7 পরে যোহন দেখলেন অনেক ফরীশী ও সদ্দূকী বাপ্তিস্ম গ্রহণ করবার জন্য তাঁর কাছে আসছেন। তিনি তাঁদের বললেন, “সাপের বংশধরেরা! ঈশ্বরের যে শাস্তি নেমে আসছে তা থেকে পালিয়ে যাবার এই বুদ্ধি তোমাদের কে দিল?
8 বেশ, তোমরা যে পাপ থেকে মন ফিরিয়েছ তার উপযুক্ত ফল তোমাদের জীবনে দেখাও।
9 তোমরা অব্রাহামের বংশের লোক, এটা নিজেদের মনে বলতে পারবার কথা চিন্তাও কোরো না। আমি তোমাদের বলছি, ঈশ্বর এই পাথরগুলো থেকে অব্রাহামের বংশধর তৈরী করতে পারেন।
10 গাছের গোড়াতে কুড়াল লাগানোই আছে। যে গাছে ভাল ফল ধরে না তা কেটে আগুনে ফেলে দেওয়া হবে।
11 মন ফিরিয়েছ বলে আমি তোমাদের জলে বাপ্তিস্ম দিচ্ছি, কিন্তু আমার পরে যিনি আসছেন তিনি আমার চেয়ে শক্তিশালী। আমি তাঁর জুতা বইবারও যোগ্য নই। তিনি পবিত্র আত্মা ও আগুনে তোমাদের বাপ্তিস্ম দেবেন।
12 কুলা তাঁর হাতেই আছে এবং তাঁর ফসল মাড়াবার জায়গা তিনি ভাল করেই পরিষ্কার করবেন। তিনি তাঁর ফসল গোলাতে জমা করবেন, কিন্তু যে আগুন কখনও নেভে না সেই আগুনে তুষ পুড়িয়ে ফেলবেন।”
13 সেই সময় যীশু বাপ্তিস্ম গ্রহণ করবার জন্য গালীল থেকে যর্দন নদীর ধারে যোহনের কাছে আসলেন।
14 যোহন কিন্তু তাঁকে এই কথা বলে বাধা দিতে চেষ্টা করলেন, “আমারই বরং আপনার কাছে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করা দরকার; আর আপনি কিনা আসছেন আমার কাছে!”
15 তখন যীশু তাঁকে বললেন, “কিন্তু এবার এই রকমই হোক, কারণ ঈশ্বরের ইচ্ছা এইভাবেই আমাদের পূর্ণ করা উচিত।” তখন যোহন রাজী হলেন।
16 বাপ্তিস্ম গ্রহণ করবার পর যীশু জল থেকে উঠে আসবার সংগে সংগেই তাঁর সামনে আকাশ খুলে গেল। তিনি ঈশ্বরের আত্মাকে কবুতরের মত হয়ে তাঁর উপরে নেমে আসতে দেখলেন।
17 তখন স্বর্গ থেকে বলা হল, “ইনিই আমার প্রিয় পুত্র, এঁর উপর আমি খুবই সন্তুষ্ট।”