29 উত্তরে যীশু বললেন, “আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, যে কেউ আমার জন্য ও ঈশ্বরের দেওয়া সুখবরের জন্য বাড়ী-ঘর, ভাই-বোন, মা-বাবা, ছেলে-মেয়ে ও জায়গা-জমি ছেড়ে দিয়েছে,
30 সে এই যুগেই তার একশো গুণ বেশী বাড়ী-ঘর, ভাই-বোন, মা, ছেলে-মেয়ে ও জায়গা-জমি পাবে এবং সংগে সংগে অত্যাচারও ভোগ করবে; আর আগামী যুগে সে অনন্ত জীবন লাভ করবে।
31 কিন্তু যারা প্রথম সারিতে আছে তাদের মধ্যে অনেকে শেষে পড়বে, আর যারা শেষ সারিতে আছে তাদের মধ্যে অনেকে প্রথম হবে।”
32 এর পরে যীশু ও তাঁর শিষ্যেরা যিরূশালেমের পথে চললেন। যীশু তাঁদের আগে আগে হাঁটছিলেন; শিষ্যেরা অবাক হয়ে তাঁর সংগে যাচ্ছিলেন এবং যে লোকেরা পিছনে আসছিল তারা ভয়ে ভয়ে হাঁটছিল। যীশু আবার তাঁর বারোজন শিষ্যকে একপাশে ডেকে নিয়ে গিয়ে নিজের উপর কি হতে যাচ্ছে তা তাঁদের বলতে লাগলেন।
33 তিনি বললেন, “দেখ, আমরা যিরূশালেমে যাচ্ছি। সেখানে মনুষ্যপুত্রকে প্রধান পুরোহিতদের ও ধর্ম-শিক্ষকদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হবে। তাঁরা তাঁর বিচার করে তাঁকে মৃত্যুর উপযুক্ত বলে স্থির করবেন এবং অযিহূদীদের হাতে দেবেন।
34 অযিহূদীরা তাঁকে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করবে, তাঁর গায়ে থুথু দেবে, তাঁকে ভীষণভাবে চাবুক মারবে এবং মেরে ফেলবে। তিন দিনের দিন আবার তিনি জীবিত হয়ে উঠবেন।”
35 পরে সিবদিয়ের ছেলে যাকোব ও যোহন যীশুর কাছে এসে বললেন, “গুরু, আমাদের ইচ্ছা এই যে, আমরা যা চাইব আমাদের জন্য আপনি তা-ই করবেন।”