34 যীশু যখন দেখলেন সেই ধর্ম-শিক্ষকটি বেশ বুদ্ধিমানের মত উত্তর দিয়েছেন তখন তিনি তাঁকে বললেন, “ঈশ্বরের রাজ্য থেকে আপনি বেশী দূরে নন।” সেই সময় থেকে যীশুকে আর কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে কারও সাহস হল না।
35-36 যীশু উপাসনা-ঘরে শিক্ষা দেবার সময় জিজ্ঞাসা করলেন, “ধর্ম-শিক্ষকেরা কেমন করে বলেন মশীহ দায়ূদের বংশধর? দায়ূদ তো পবিত্র আত্মার পরিচালনায় বলেছেন,‘প্রভু আমার প্রভুকে বললেন,যতক্ষণ না আমি তোমার শত্রুদেরতোমার পায়ের তলায় রাখি,ততক্ষণ তুমি আমার ডান দিকে বস।’
37 দায়ূদ নিজেই তো তাঁকে প্রভু বলেছেন, তবে কেমন করে মশীহ তাঁর বংশধর হতে পারেন?” অনেক লোক খুশী মনে যীশুর কথা শুনছিল।
38 শিক্ষা দিতে দিতে যীশু বললেন, “ধর্ম-শিক্ষকদের সম্বন্ধে সাবধান হও। তাঁরা লম্বা লম্বা জামা পরে বেড়াতে এবং হাটে-বাজারে সম্মান পেতে চান।
39 তাঁরা সমাজ-ঘরে প্রধান প্রধান আসনে ও ভোজের সময়ে সম্মানের জায়গায় বসতে চান।
40 এক দিকে তাঁরা লোককে দেখাবার জন্য লম্বা লম্বা প্রার্থনা করেন, অন্য দিকে বিধবাদের সম্পত্তি দখল করেন। এই লোকদের অনেক বেশী শাস্তি হবে।”
41 এর পর যীশু উপাসনা-ঘরের দান-বাক্সের কাছে বসে লোকদের টাকা-পয়সা দান করা লক্ষ্য করছিলেন। অনেক ধনী লোক অনেক টাকা-পয়সা দিল।