1 এর দু’দিন পরে গালীলের কান্না গ্রামে একটা বিয়ে হয়েছিল। যীশুর মা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
2 সেই বিয়েতে যীশু এবং তাঁর শিষ্যেরাও নিমন্ত্রণ পেয়েছিলেন।
3 পরে যখন সমস্ত আংগুর-রস ফুরিয়ে গেল তখন যীশুর মা যীশুকে বললেন, “এদের আংগুর-রস নেই।”
4 যীশু তাঁর মাকে বললেন, “এই ব্যাপারে তোমার সংগে আমার কি সম্বন্ধ? আমার সময় এখনও হয় নি।”
5 তাঁর মা তখন চাকরদের বললেন, “ইনি তোমাদের যা করতে বলেন তা-ই কর।”
6 যিহূদী ধর্মের নিয়ম মত শুচি হবার জন্য সেই জায়গায় পাথরের ছয়টা জালা বসানো ছিল। সেগুলোর প্রত্যেকটাতে কমবেশ পঁয়তাল্লিশ লিটার করে জল ধরত।
7 যীশু সেই চাকরদের বললেন, “এই জালাগুলোতে জল ভরে দাও। চাকরেরা তখন জালাগুলো কানায় কানায় জল ভরে দিল।
8 তারপর যীশু তাদের বললেন, “এবার ওখান থেকে অল্প তুলে ভোজের কর্তার কাছে নিয়ে যাও।” চাকরেরা তা-ই করল।
9 সেই আংগুর-রস, যা জল থেকে হয়েছিল, ভোজের কর্তা তা খেয়ে দেখলেন। কিন্তু সেই রস কোথা থেকে আসল তা তিনি জানতেন না; তবে যে চাকরেরা জল তুলেছিল তারা জানত। তাই ভোজের কর্তা বরকে ডেকে বললেন,
10 “প্রথমে সকলে ভাল আংগুর-রস খেতে দেয়। তারপর যখন লোকের ইচ্ছামত খাওয়া শেষ হয় তখন যে রস দেয় তা আগের চেয়ে কিছু মন্দ। কিন্তু তুমি ভাল আংগুর-রস এখনও পর্যন্ত রেখেছ।”
11 যীশু গালীল প্রদেশের কান্না গ্রামে চিহ্ন হিসাবে এই প্রথম আশ্চর্য কাজ করে নিজের মহিমা প্রকাশ করলেন। এতে তাঁর শিষ্যেরা তাঁর উপর বিশ্বাস করলেন।
12 তারপর যীশু, তাঁর মা, তাঁর ভাইয়েরা ও তাঁর শিষ্যেরা কফরনাহূম শহরে গেলেন, কিন্তু বেশী দিন তাঁরা সেখানে থাকলেন না।
13 যিহূদীদের উদ্ধার-পর্বের সময় কাছে আসলে পর যীশু যিরূশালেমে গেলেন।
14 তিনি সেখানে দেখলেন, লোকেরা উপাসনা-ঘরের মধ্যে গরু, ভেড়া আর কবুতর বিক্রি করছে এবং টাকা বদল করে দেবার লোকেরাও বসে আছে।
15 এই সব দেখে তিনি দড়ি দিয়ে একটা চাবুক তৈরী করলেন, আর তা দিয়ে সমস্ত গরু, ভেড়া এবং লোকদেরও সেখান থেকে তাড়িয়ে দিলেন। টাকা বদল করে দেবার লোকদের টাকা-পয়সা ছড়িয়ে দিয়ে তিনি তাদের টেবিলগুলো উল্টে ফেললেন।
16 যারা কবুতর বিক্রি করছিল যীশু তাদের বললেন, “এই জায়গা থেকে এই সব নিয়ে যাও। আমার পিতার ঘরকে ব্যবসার ঘর কোরো না।”
17 এতে পবিত্র শাস্ত্রে লেখা এই কথাটা তাঁর শিষ্যদের মনে পড়ল:তোমার ঘরের জন্য আমার যে গভীর ভালবাসা,সেই ভালবাসাই আমার অন্তরকে জ্বালিয়ে তুলবে।
18 তখন যিহূদী নেতারা যীশুকে জিজ্ঞাসা করলেন, “কিন্তু এই সব করবার অধিকার যে তোমার সত্যিই আছে তার প্রমাণ হিসাবে তুমি কি আশ্চর্য কাজ আমাদের দেখাতে পার?”
19 উত্তরে যীশু তাঁদের বললেন, “ঈশ্বরের ঘর আপনারা ভেংগে ফেলুন, তিন দিনের মধ্যে আবার আমি তা উঠাব।”
20 এই কথা শুনে যিহূদী নেতারা তাঁকে বললেন, “এই উপাসনা-ঘরটা তৈরী করতে ছেচল্লিশ বছর লেগেছিল, আর তুমি কি তিন দিনের মধ্যে এটা উঠাবে?”
21 যীশু কিন্তু ঈশ্বরের ঘর বলতে নিজের দেহের কথাই বলছিলেন।
22 তাই যীশু মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠলে পর তাঁর শিষ্যদের মনে পড়ল যে, তিনি ঐ কথাই বলেছিলেন। তখন শিষ্যেরা পবিত্র শাস্ত্রের কথায় এবং যীশু যে কথা বলেছিলেন তাতে বিশ্বাস করলেন।
23 উদ্ধার-পর্বের সময় যীশু যিরূশালেমে থেকে যে সব আশ্চর্য কাজ করছিলেন তা দেখে অনেকেই তাঁর উপর বিশ্বাস করল।
24 যীশু কিন্তু তাদের কাছে নিজেকে ধরা দিলেন না, কারণ তিনি সব মানুষকে জানতেন।
25 মানুষের বিষয়ে কারও সাক্ষ্যের দরকারও তাঁর ছিল না, কারণ মানুষের মনে যা আছে তা তাঁর জানা ছিল।