1 এই সব কথা বলবার পরে যীশু স্বর্গের দিকে তাকিয়ে বললেন, “পিতা, সময় এসেছে। তোমার পুত্রের মহিমা প্রকাশ কর যেন পুত্রও তোমার মহিমা প্রকাশ করতে পারেন।
2 তুমি তাঁকে সমস্ত মানুষের উপরে অধিকার দিয়েছ, যেন যাদের তুমি তাঁর হাতে দিয়েছ তাদের সবাইকে তিনি অনন্ত জীবন দিতে পারেন।
3 তোমাকে, অর্থাৎ একমাত্র সত্য ঈশ্বরকে আর তুমি যাঁকে পাঠিয়েছ সেই যীশু খ্রীষ্টকে জানতে পারাই অনন্ত জীবন।
4 তুমি যে কাজ আমাকে করতে দিয়েছ তা শেষ করে এই জগতে আমি তোমার মহিমা প্রকাশ করেছি।
5 পিতা, জগৎ সৃষ্ট হবার আগে তোমার সংগে আমার যে মহিমা ছিল সেই মহিমা তুমি আবার আমাকে দাও।
6 “জগতের মধ্য থেকে যাদের তুমি আমাকে দিয়েছ আমি তাদের কাছে তোমাকে প্রকাশ করেছি। তারা তোমারই ছিল, আর তুমি তাদের আমাকে দিয়েছ। তারা তোমার কথার বাধ্য হয়ে চলেছে।
7 তারা এখন বুঝতে পেরেছে, যা কিছু তুমি আমাকে দিয়েছ তা তোমারই কাছ থেকে এসেছে।
8 এর কারণ এই, তুমি যা যা আমাকে বলতে বলেছ তা আমি তাদের বলেছি। তারা তা গ্রহণ করে সত্যিই জানতে পেরেছে যে, আমি তোমার কাছ থেকে এসেছি, আর বিশ্বাসও করেছে যে, তুমিই আমাকে পাঠিয়েছ।
9 “আমি সকলের জন্য অনুরোধ করছি না, কিন্তু যাদের তুমি আমার হাতে দিয়েছ তাদের জন্যই অনুরোধ করছি, কারণ তারা তো তোমারই।
10 যা কিছু আমার তা সবই তোমার আর যা কিছু তোমার তা সবই আমার। তাদের মধ্য দিয়ে আমার মহিমা প্রকাশিত হয়েছে।
11 আমি আর এই জগতে নেই, কিন্তু তারা তো এই জগতে আছে; আর আমি তোমার কাছে আসছি। পবিত্র পিতা, তুমি আমাকে তোমার যে নাম দিয়েছ সেই নামের গুণে এদের রক্ষা কর, যেন আমরা যেমন এক, এরাও তেমনি এক হতে পারে।
12 আমি যতদিন তাদের সংগে ছিলাম ততদিন তোমার যে নাম তুমি আমাকে দিয়েছ সেই নামের গুণে আমি তাদের রক্ষা করে এসেছি। আমি তাদের পাহারা দিয়েছি, তাদের মধ্যে কেউই বিনষ্ট হয় নি। কেবল যার বিনষ্ট হবার কথা ছিল সে-ই বিনষ্ট হয়েছে, যেন পবিত্র শাস্ত্রের কথা পূর্ণ হয়।
13 “এখন আমি তোমার কাছে আসছি, আর আমার আনন্দে যেন তাদের অন্তর পূর্ণ হয় সেইজন্য জগতে থাকতেই এই সব কথা বলছি।
14 তুমি যা বলেছ আমি তাদের তা-ই জানিয়েছি। জগতের লোকেরা তাদের ঘৃণা করেছে, কারণ আমি যেমন এই জগতের নই তারাও তেমনি এই জগতের নয়।
15 আমি তোমাকে অনুরোধ করছি না তুমি এই জগত থেকে তাদের নিয়ে যাও, বরং অনুরোধ করছি যে, শয়তানের হাত থেকে তাদের রক্ষা কর।
16 আমি যেমন এই জগতের নই তারাও তেমনি এই জগতের নয়।
17 “সত্যের দ্বারা তোমারই উদ্দেশ্যে তুমি তাদের আলাদা করে রাখ। তোমার বাক্যই সেই সত্য।
18 তুমি যেমন আমাকে জগতে পাঠিয়েছিলে তেমনি আমিও তাদের জগতে পাঠিয়েছি।
19 তাদের জন্য তোমার উদ্দেশ্যে আমি নিজেকে আলাদা করছি যেন সত্যের দ্বারা তাদেরও আলাদা করা হয়।
20 “আমি যে কেবল এদের জন্য অনুরোধ করছি তা নয়, কিন্তু যারা এদের কথার মধ্য দিয়ে আমার উপর বিশ্বাস করবে তাদের জন্যও অনুরোধ করছি, যেন তারা সকলে এক হয়।
21 পিতা, তুমি যেমন আমার সংগে যুক্ত আছ আর আমি তোমার সংগে যুক্ত আছি তেমনি তারাও যেন আমাদের সংগে যুক্ত থাকতে পারে। তাতে জগতের লোকেরা বিশ্বাস করতে পারবে যে, তুমিই আমাকে পাঠিয়েছ।
22 যে মহিমা তুমি আমাকে দিয়েছ তা আমি তাদের দিয়েছি যেন আমরা যেমন এক তারাও তেমনি এক হতে পারে,
23 অর্থাৎ আমি তাদের সংগে যুক্ত ও তুমি আমার সংগে যুক্ত, আর এইভাবে যেন তারা পূর্ণ হয়ে এক হতে পারে। তাতে জগতের লোকেরা জানতে পারবে যে, তুমিই আমাকে পাঠিয়েছ, আর আমাকে যেমন তুমি ভালবাস তেমনি তাদেরও ভালবাস।
24 “পিতা, আমি চাই যাদের তুমি আমাকে দিয়েছ, আমার মহিমা দেখবার জন্য তারা যেন আমি যেখানে আছি সেখানে আমার সংগে থাকতে পারে। সেই মহিমা তুমিই আমাকে দিয়েছ, কারণ জগৎ সৃষ্ট হবার আগে থেকেই তুমি আমাকে ভালবেসেছ।
25 ন্যায়বান পিতা, জগতের লোকেরা তোমাকে জানে না কিন্তু আমি তোমাকে জানি। আর তুমিই যে আমাকে পাঠিয়েছ এরা তা বুঝতে পেরেছে।
26 আমি তাদের কাছে তোমাকে প্রকাশ করেছি এবং আরও প্রকাশ করব, যেন তুমি আমাকে যেভাবে ভালবাস সেই রকম ভালবাসা তাদের অন্তরে থাকে, আর আমি যেন তাদের সংগে যুক্ত থাকি।”