5 জবাবে বাদশাহ্ সিদিকিয় বললেন, “সে তো আপনাদের হাতেই রয়েছে; বাদশাহ্ আপনাদের বিরুদ্ধে যেতে পারেন না।”
6 তখন তাঁরা ইয়ারমিয়াকে ধরে বাদশাহ্র ছেলে মল্কিয়ের কূয়াতে ফেলে দিলেন। এই কূয়াটা ছিল পাহারাদারদের উঠানের মধ্যে। তাঁরা ইয়ারমিয়াকে দড়ি দিয়ে সেই কূয়াতে নামিয়ে দিলেন। সেখানে পানি ছিল না, কেবল কাদা ছিল; আর ইয়ারমিয়া সেই কাদার মধ্যে ডুবে যেতে লাগলেন।
7 কিন্তু রাজবাড়ীর একজন কর্মচারী ইথিওপীয় এবদ-মেলক শুনতে পেলেন যে, ইয়ারমিয়াকে কূয়াতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। বাদশাহ্ তখন বিন্ইয়ামীন দরজায় বসে ছিলেন।
8 এবদ-মেলক রাজবাড়ী থেকে বের হয়ে বাদশাহ্কে গিয়ে বললেন,
9 “হে আমার প্রভু মহারাজ, এই লোকেরা নবী ইয়ারমিয়ার প্রতি যা করেছে তা অন্যায়। তারা তাঁকে কূয়াতে ফেলে দিয়েছে; তিনি সেখানে ক্ষুধায় মারা যাবেন, কারণ শহরে আর রুটি নেই।”
10 তখন বাদশাহ্ ইথিওপীয় এবদ-মেলককে এই হুকুম দিলেন, “তুমি এখান থেকে ত্রিশজন লোক সংগে নাও এবং নবী ইয়ারমিয়াকে তুলে আন যেন তিনি মারা না যান।”
11 তখন এবদ-মেলক সেই লোকদের সংগে নিয়ে রাজবাড়ীর ধনভাণ্ডারের নীচের একটা ঘরে গেলেন। তিনি সেখান থেকে কতগুলো পুরানো ও ছেঁড়া কাপড় নিয়ে সেগুলো দড়ি দিয়ে সেই কূয়ার মধ্যে ইয়ারমিয়ার কাছে নামিয়ে দিলেন।