1 মাবুদ আমাকে বললেন, “তুমি গিয়ে মসীনা সুতার একটা জাংগিয়া কিনে পর, কিন্তু সেটা পানিতে ডুবাবে না।”
2 কাজেই মাবুদের নির্দেশমত আমি একটা জাংগিয়া কিনে পরলাম।
3 তখন মাবুদ দ্বিতীয়বার আমাকে বললেন,
4 “যে জাংগিয়া তুমি কিনে পরেছ সেটা নিয়ে এখনই তুমি ফোরাত নদীর কাছে গিয়ে পাথরের কোন ফাটলে লুকিয়ে রাখ।”
5 সেইজন্য মাবুদের কথামত আমি গিয়ে ফোরাত নদীর কাছে সেটা লুকিয়ে রাখলাম।
6 তারপর অনেক দিন পরে মাবুদ আমাকে বললেন, “তুমি এখনই ফোরাত নদীর কাছে যাও এবং সেখানে যে জাংগিয়াটা আমি তোমাকে লুকিয়ে রাখতে বলেছিলাম সেটা নিয়ে এস।”
7 সেইজন্য আমি ফোরাত নদীর কাছে গিয়ে জাংগিয়াটা যেখানে লুকিয়ে রেখেছিলাম সেখান থেকে সেটা খুঁড়ে বের করলাম, কিন্তু তখন সেটা নষ্ট ও সম্পূর্ণভাবে অকেজো হয়ে গিয়েছিল।
8 তারপর মাবুদ আমাকে বললেন,
9 “আমি মাবুদ এই কথা বলছি যে, এই রকম করে আমি এহুদার অহংকার এবং জেরুজালেমের ভীষণ অহংকার ধ্বংস করব।
10 এই দুষ্ট জাতির লোকেরা, যারা আমার কথা শুনতে অস্বীকার করেছে এবং তাদের দিলের একগুঁয়েমিতে চলেছে আর সেবা ও এবাদত করবার জন্য দেব-দেবীর পিছনে গেছে তারা এই জাংগিয়ার মত সম্পূর্ণভাবে অকেজো হবে।
11 লোকে কোমরে যেমন করে জাংগিয়া পরে তেমনি করে আমি গোটা ইসরাইল ও এহুদার সমস্ত লোকদের আমার সংগে জড়িয়েছিলাম, যাতে তারা আমার সুনাম, প্রশংসা ও সম্মানের জন্য আমার বান্দা হয়, কিন্তু তারা আমার কথা শোনে নি।
12 “তুমি তাদের বল যে, ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্ বলছেন, ‘আংগুর-রস রাখা প্রত্যেকটি মাটির পাত্র রসে পূর্ণ করতে হবে।’ আর যদি তারা তোমাকে বলে, ‘আমরা কি জানি না যে, আংগুর-রস রাখা প্রত্যেকটি পাত্র রসে পূর্ণ করতে হবে?’
13 তবে তুমি তাদের বলবে যে, মাবুদ বলছেন, ‘যারা এই দেশে বাস করে, অর্থাৎ দাউদের সিংহাসনে বসা সমস্ত বাদশাহ্দের, ইমামদের, নবীদের এবং জেরুজালেমে বাসকারী সকলকে আমি মাতলামি দিয়ে পূর্ণ করব।
14 আংগুর-রসের পাত্রের মত করে আমি একজনের উপর আর একজনকে আছাড় মেরে চুরমার করব; বাবা হোক বা ছেলে হোক সবাইকে চুরমার করব। আমি কোন করুণা বা দয়া কিংবা মমতা করব না; তাদের ধ্বংস করবই করব।’ ”
15 তোমরা শোন, মনোযোগ দাও, গর্বিত হোয়ো না, কারণ মাবুদ কথা বলেছেন।
16 তোমরা তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্র গৌরব কর, তা না হলে তিনি অন্ধকার নিয়ে আসবেন আর অন্ধকার হয়ে আসা সব পাহাড়ের উপরে তোমাদের পায়ে উচোট লাগবে। তোমরা আলোর আশা করলে তিনি তা অন্ধকার করে দেবেন, গভীর অন্ধকার করে দেবেন।
17 তোমরা যদি কথা না শোন তবে তোমাদের অহংকারের জন্য আমি গোপনে কাঁদব, ভীষণভাবে কাঁদব ও আমার চোখ পানিতে ভেসে যাবে, কারণ মাবুদের বান্দাদের বন্দী করে নিয়ে যাওয়া হবে।
18 মাবুদ আমাকে বললেন, “তুমি বাদশাহ্ ও তার মাকে বল, ‘আপনারা সিংহাসন থেকে নেমে আসুন, কারণ আপনাদের সুন্দর তাজ আপনাদের মাথা থেকে পড়ে যাবে।
19 নেগেভের শহরগুলোর ঢুকবার পথ বন্ধ করা হবে এবং কেউ সেখানে ঢুকতে পারবে না। এহুদার সমস্ত লোককে বন্দী করে নিয়ে যাওয়া হবে, একেবারে সকলকে নিয়ে যাওয়া হবে।’ ”
20 মাবুদ বলছেন, “হে জেরুজালেম, তুমি চোখ তোল, দেখ, উত্তর দিক থেকে শত্রুরা আসছে। যে পাল তোমার হাতে দেওয়া হয়েছিল, যে ভেড়াদের নিয়ে তুমি গর্ব করতে তারা কোথায়?
21 যে সব রাজ্যের সংগে তুমি বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছিলে মাবুদ যখন তোমার উপরে তাদের বসাবেন তখন তুমি কি বলবে? প্রসবের সময়ে স্ত্রীলোক যেমন যন্ত্রণা পায় তেমনি কি তুমি যন্ত্রণা পাবে না?
22 যদি তুমি নিজেকে জিজ্ঞাসা কর, ‘আমার উপর এটা কেন ঘটল?’ তবে এর জবাব হল, তোমার অনেক গুনাহের জন্য তোমার কাপড় ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে ও শরীরের উপর জুলুম করা হয়েছে।
23 ইথিওপিয়া দেশের লোক কি তার শরীরের রং কিংবা চিতাবাঘ কি তার গায়ের ফোঁটা ফোঁটা দাগ বদলে ফেলতে পারে? তুমিও তেমনি ভাল কাজ করতে পার না, কারণ তুমি খারাপ কাজ করা অভ্যাস করে ফেলেছ।
24 “মরুভূমির বাতাসে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া তুষের মত আমি তোমার লোকদের ছড়িয়ে দেব।
25 এটাই তোমার পাওনা; এটাই আমি তোমার জন্য মেপে দিয়েছি, কারণ তুমি আমাকে ভুলে গিয়ে মিথ্যা দেব-দেবীর উপর বিশ্বাস করেছ।
26 আমি তোমার কাপড় তোমার মুখের উপর তুলে দেব যাতে তোমার লজ্জা দেখা যায়।
27 আমি তোমার জেনা ও কামনাপূর্ণ ডাক এবং লজ্জাহীন বেশ্যার কাজ দেখেছি; দেখেছি পাহাড়ে পাহাড়ে ও মাঠে মাঠে এই সব জঘন্য কাজ। জেরুজালেম, ঘৃণ্য তুমি! আর কত দিন তুমি নাপাক থাকবে?”