1 মাবুদ বলছেন, “এহুদার গুনাহ্ লোহার যন্ত্র দিয়ে লেখা হয়েছে, হীরার কাঁটা দিয়ে তাদের দিলের ফলকে, তাদের বেদীর শিংয়ের উপরে খোদাই করা হয়েছে।
2 ডালপালা ছড়ানো সবুজ গাছের পাশে উঁচু উঁচু পাহাড়ের উপরে তাদের বেদী ও আশেরা-খুঁটি তাদের ছেলেমেয়েদের কাছেও প্রিয়।
3 হে এহুদা, তোমার গুনাহের জন্য দেশের মধ্যেকার আমার পাহাড় এবং তোমার ধন ও তোমার ধনভাণ্ডারের জিনিসপত্র আর সারা দেশে তোমার পূজার উঁচু স্থানগুলো আমি লুট হিসাবে দিয়ে দেব।
4 যে অধিকার আমি তোমাকে দিয়েছিলাম, তোমার নিজের দোষেই তুমি তা হারাবে। যে দেশের কথা তুমি জান না সেই দেশে আমি তোমাকে তোমার শত্রুদের গোলাম করব, কারণ তুমি আমার রাগের আগুন জ্বালিয়েছ আর তা চিরকাল জ্বলতে থাকবে।”
5 মাবুদ বলছেন, “যে লোক মানুষের উপর ভরসা করে ও শক্তির জন্য নিজের শরীরের উপর বিশ্বাস করে এবং যার দিল আমার কাছ থেকে সরে গেছে সে বদদোয়াপ্রাপ্ত।
6 সে হবে পতিত জমিতে একটা ঝোপের মত; ভাল সময় আসলে সে তা দেখতে পাবে না। মরুভূমির গরম শুকনা জায়গায়, অর্থাৎ যেখানে কেউ বাস করে না এমন নোনা জায়গায় সে বাস করবে।
7 “কিন্তু ধন্য সেই লোক, যে মাবুদের উপর ভরসা করে ও মাবুদ যার ঈমানের ভিত্তি।
8 সে পানির ধারে লাগানো গাছের মত হবে যা স্রোতের ধারে তার শিকড় মেলে দেয়। গরম আসলে সে ভয় পায় না; তার পাতা সব সময় সবুজ থাকে। খরার বছরে তার কোন ভাবনা হয় না আর সে কখনও ফলহীন থাকে না।
9 “অন্তর সব কিছুর চেয়ে ঠগ, তাকে কোন রকমে ভাল করা যায় না। কেউ মানুষের দিল বুঝতে পারে না।
10 আমি মাবুদ দিল খুঁজে দেখি ও মনের পরীক্ষা করি; আমি মানুষের চলাফেরা ও তার কাজের পাওনা অনুসারে ফল দিই।
11 “অন্যের ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা পাওয়া তিতির পাখীর মতই সেই লোক, যে অসৎ উপায়ে ধন লাভ করে। তার বয়সের মাঝামাঝি সময়ে সেই ধন তাকে ছেড়ে চলে যাবে, আর শেষে সে বোকা বলে প্রমাণিত হবে।”
12 সেই প্রথম থেকে স্থাপন করা গৌরবময় সিংহাসনটা হল আমাদের পবিত্র এবাদত-খানার জায়গা।
13 হে মাবুদ, ইসরাইলের আশা, যারা তোমাকে ত্যাগ করেছে তাদের সবাইকে লজ্জায় ফেলা হবে। তোমার কাছ থেকে যারা ফিরে গেছে তাদের নাম ধূলায় লেখা হবে, কারণ তারা জীবন্ত পানির ঝর্ণা মাবুদকে ত্যাগ করেছে।
14 হে মাবুদ, আমাকে সুস্থ কর, তাতে আমি সুস্থ হব; আমাকে উদ্ধার কর, তাতে আমি উদ্ধার পাব, কারণ তুমিই আমার প্রশংসার পাত্র।
15 দেখ, তারা আমাকে বলতে থাকে, “মাবুদের কালাম কোথায়? এখন তা পূর্ণ হোক।”
16 তোমার বান্দাদের পালক হওয়া থেকে আমি তো পালিয়ে যাই নি; তুমি জান আমি বিপদের দিন চাই নি। আমার মুখ থেকে যা বের হয় তা তোমার কাছ থেকে লুকানো নেই।
17 তুমি আমার ভেংগে পড়বার কারণ হোয়ো না; বিপদের দিনে তুমিই আমার আশ্রয়।
18 আমার জুলুমবাজদের লজ্জায় ফেলা হোক, কিন্তু তুমি আমাকে লজ্জা থেকে রক্ষা কর। তারা ভেংগে পড়ুক, কিন্তু তুমি আমাকে ভেংগে পড়া থেকে রক্ষা কর। তুমি তাদের উপর বিপদের দিন নিয়ে এস; দুই গুণ ধ্বংস দিয়ে তাদের ধ্বংস কর।
19 জনসাধারণের যে দরজা দিয়ে এহুদার বাদশাহ্রা আসা-যাওয়া করে মাবুদ আমাকে সেই দরজায় এবং জেরুজালেমের অন্যান্য সব দরজায়ও গিয়ে দাঁড়াতে বললেন।
20 তিনি আমাকে এই কথা বলতে বললেন, “হে এহুদার বাদশাহ্রা ও সমস্ত লোকেরা এবং জেরুজালেমে বাসকারী সকলে, তোমরা যারা এই সব দরজা দিয়ে ভিতরে যাওয়া-আসা করে থাক, তোমরা মাবুদের কালাম শোন।
21 মাবুদ বলছেন, ‘তোমরা সাবধান হও; বিশ্রামবারে কোন বোঝা বইবে না কিংবা জেরুজালেমের দরজা দিয়ে তা ভিতরে আনবে না।
22 আমি যেমন তোমাদের পূর্বপুরুষদের হুকুম দিয়েছিলাম সেই মত বিশ্রামবারে তোমরা তোমাদের বাড়ী থেকে কোন বোঝা বের করে আনবে না বা কোন কাজ করবে না, বরং বিশ্রামবার পবিত্র করে রাখবে।
23 তোমাদের পূর্বপুরুষেরা সেই কথা শোনেও নি, তাতে মনোযোগও দেয় নি। তারা তাদের ঘাড় শক্ত করেছিল; তারা আমার কথা শুনতে ও আমার শাসন মেনে নিতে অস্বীকার করেছিল।
24 কিন্তু যদি তোমরা সতর্ক হয়ে আমার কথামত চল এবং বিশ্রামবারে শহরের দরজা দিয়ে কোন বোঝা না আন বরং বিশ্রামবারে কোন কাজ না করে দিনটা পবিত্র করে রাখ,
25 তাহলে তোমাদের বাদশাহ্রা দাউদের সিংহাসনে বসে রাজত্ব করবে। তারা, তাদের রাজকর্মচারীরা এবং এহুদার লোকেরা ও জেরুজালেমের বাসিন্দারা রথে ও ঘোড়ায় চড়ে শহরের দরজা দিয়ে যাওয়া-আসা করবে; এই শহর কখনও জনশূন্য হবে না।
26 এহুদার শহরগুলো ও জেরুজালেমের আশেপাশের গ্রামগুলো থেকে বিন্ইয়ামীন এলাকা এবং উঁচু ও নীচু পাহাড়ী এলাকা থেকে আর নেগেভ থেকে লোকেরা আসবে এবং মাবুদের ঘরে পোড়ানো-কোরবানী, পশু-কোরবানী, শস্য-কোরবানী, ধূপ ও শুকরিয়া-কোরবানীর জিনিস আনবে।
27 কিন্তু যদি তোমরা আমার কথা না শোন এবং বিশ্রামবার পবিত্র করে না রাখ আর সেই দিনে বোঝা নিয়ে জেরুজালেমের দরজার মধ্য দিয়ে ঢোক, তবে জেরুজালেমের সমস্ত দরজায় আমি আগুন জ্বালাব আর তা তার কেল্লাগুলো পুড়িয়ে ফেলবে। সেই আগুন কেউ নিভাতে পারবে না।’ ”