12 ব্যাবিলনকে আক্রমণ করবার জন্য একটা নিশান তোল। রক্ষীদলকে আরও শক্তিশালী কর, পাহারা বসাও, গোপন স্থানে সৈন্যদের প্রস্তুত রাখ। মাবুদ ব্যাবিলনের লোকদের বিরুদ্ধে তাঁর উদ্দেশ্য ও হুকুম অনুসারে কাজ করবেন।
13 হে ব্যাবিলন, তুমি তো অনেক পানির ধারে বাস কর এবং অনেক ধন-সম্পদের অধিকারী; তোমার শেষ এসেছে, তোমাকে ছেঁটে ফেলবার সময় উপস্থিত হয়েছে।
14 আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন তাঁর নিজের নামেই কসম খেয়ে বলেছেন, “আমি নিশ্চয়ই এক ঝাঁক পংগপালের মত লোকজন দিয়ে তোমাকে পূর্ণ করব, আর তারা তোমার উপরে জয়ের হাঁক দেবে।”
15 মাবুদ নিজের শক্তিতে দুনিয়া তৈরী করেছেন, তাঁর জ্ঞান দ্বারা জমীন স্থাপন করেছেন ও বুদ্ধি দ্বারা আসমান বিছিয়ে দিয়েছেন।
16 তাঁর হুকুমে আসমানের পানি গর্জন করে; তিনি দুনিয়ার শেষ সীমা থেকে মেঘ উঠিয়ে আনেন। তিনি বৃষ্টির জন্য বিদ্যুৎ তৈরী করেন এবং তাঁর ভাণ্ডার থেকে বাতাস বের করে আনেন।
17 সব মানুষই জ্ঞানহীন ও বোকা; প্রত্যেক স্বর্ণকার তার মূর্তিগুলোর জন্য লজ্জা পায়। তার ছাঁচে ঢালা মূর্তিগুলো মিথ্যা, সেগুলোর মধ্যে নিঃশ্বাস নেই।
18 সেগুলো অপদার্থ, ঠাট্টা-বিদ্রূপের জিনিস; বিচারের সময় আসলে সেগুলো ধ্বংস হয়ে যাবে।