13 এতে আমি বললাম, “হায়, আল্লাহ্ মালিক! নবীরা তাদের বলছে, ‘তোমরা যুদ্ধ দেখবে না কিংবা দুর্ভিক্ষেও কষ্ট পাবে না। মাবুদ সত্যিই এই জায়গায় তোমাদের স্থায়ী শান্তি দান করবেন।’ ”
14 তখন মাবুদ আমাকে বললেন, “নবীরা আমার নাম করে মিথ্যা ভবিষ্যদ্বাণী বলছে। আমি তাদের পাঠাই নি, তাদের হুকুম দিই নি কিংবা তাদের কাছে কোন কথাও বলি নি। তারা তোমাদের কাছে মিথ্যা দর্শন, মিথ্যা গোণাপড়া ও নিজেদের মনগড়া মিথ্যা কথা বলে।
15 কাজেই যে সব নবীরা আমার নাম করে কথা বলছে তাদের সম্বন্ধে আমি মাবুদ এই কথা বলছি যে, আমি তাদের পাঠাই নি, তবুও তারা বলছে, ‘কোন যুদ্ধ বা দুর্ভিক্ষ এই দেশে আসবে না।’ ঐ সব নবীরাই যুদ্ধ বা দুর্ভিক্ষে ধ্বংস হয়ে যাবে।
16 যে সব লোকদের কাছে তারা নবী হিসাবে কথা বলছে তাদের লাশ দুর্ভিক্ষ ও যুদ্ধের ফলে জেরুজালেমের রাস্তায় রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হবে। তাদের কিংবা তাদের স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের দাফন করবার জন্য কেউ থাকবে না। তাদের পাওনা দুর্দশা আমি তাদের উপরেই ঢেলে দেব।
17 “তুমি লোকদের কাছে এই কথা বল, ‘আমার চোখের পানি না থেমে দিনরাত আমার চোখ থেকে উপ্চে পড়ুক, কারণ আমার জাতির লোকেরা ভীষণ আঘাত, চুরমার-করা আঘাত পেয়েছে।
18 আমি বের হয়ে মাঠে গেলে নিহত লোকদের দেখতে পাই; আর শহরে গেলে দেখি দুর্ভিক্ষের দরুন ধ্বংস। নবী ও ইমামেরা এমন দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে যার সম্বন্ধে তারা কিছুই জানে না।’ ”
19 হে মাবুদ, তুমি কি এহুদাকে একেবারে অগ্রাহ্য করেছ? তুমি কি সিয়োনকে ঘৃণা করেছ? তুমি আমাদের কেন এমন কষ্ট দিয়েছ যে, আমরা সুস্থ হতে পারছি না? আমরা শান্তির আশা করেছিলাম কিন্তু কোন উপকার হল না, আমরা সুস্থ হবার আশা করেছিলাম কিন্তু ভীষণ ভয় উপস্থিত হল।