11 কিন্তু যখন ব্যাবিলনের বাদশাহ্ বখতে-নাসার এই দেশ আক্রমণ করলেন তখন আমরা বললাম, ‘ব্যাবিলনীয় ও সিরীয় সৈন্যদের কাছ থেকে পালিয়ে চল, আমরা জেরুজালেমে যাই।’ তাই আমরা জেরুজালেমে রয়ে গেছি।”
12-13 তারপর ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন আমাকে এহুদা ও জেরুজালেমের লোকদের কাছে গিয়ে এই কথা বলতে বললেন, “আমি মাবুদ বলছি, কেন তোমরা আমার শিক্ষা গ্রহণ করছ না এবং আমার কালাম পালন করছ না?
14 রেখবের ছেলে যিহোনাদব তার ছেলেদের আংগুর-রস খেতে নিষেধ করেছিল আর সেই হুকুম তারা পালন করছে। আজও তারা আংগুর-রস খায় না, কারণ তারা তাদের পূর্বপুরুষের হুকুম মেনে চলে। কিন্তু আমি তোমাদের বারে বারে বলেছি, তবুও তোমরা আমার কথা শোন নি।
15 আমি আমার সমস্ত গোলামদের, অর্থাৎ নবীদের বারে বারে তোমাদের কাছে পাঠিয়েছি। তারা বলেছে, ‘তোমরা প্রত্যেকে কুপথ থেকে ফেরো এবং তোমাদের চালচলন ভাল কর; দেব-দেবীদের এবাদত করবার জন্য তাদের পিছনে যেয়ো না। তাহলে যে দেশ আমি তোমাদের ও তোমাদের পূর্বপুরুষদের দিয়েছি সেখানে তোমরা বাস করতে পারবে।’ কিন্তু তোমরা আমার কথায় মনোযোগও দাও নি এবং শোনও নি।
16 রেখবের ছেলে যিহোনাদবের বংশধরেরা তাদের পূর্বপুরুষের দেওয়া হুকুম পালন করে আসছে, কিন্তু তোমরা আমার কথার বাধ্য হও নি।
17 “সেইজন্য আমি ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন বলছি, ‘শোন, আমি এহুদা ও জেরুজালেমে বাসকারী প্রত্যেকের বিরুদ্ধে যে সব বিপদের কথা বলেছি তার প্রত্যেকটাই আমি তাদের উপর ঘটাব। আমি তাদের বলেছিলাম, কিন্তু তারা শোনে নি; আমি তাদের ডেকেছিলাম, কিন্তু তারা সাড়া দেয় নি।’ ”
18 এর পরে ইয়ারমিয়া রেখবীয়দের বললেন যে, ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন বলছেন, “তোমরা তোমাদের পূর্বপুরুষ যিহোনাদবের হুকুম পালন করেছ এবং তার সব নির্দেশ মত চলেছ ও তার হুকুম মত সব কাজ করেছ।