13 তখন তারা দড়ি দিয়ে তাঁকে টেনে সেই কূয়া থেকে তুলে আনল। এর পর ইয়ারমিয়া পাহারাদারদের উঠানেই রইলেন।
14 তারপর বাদশাহ্ সিদিকিয় লোক পাঠিয়ে নবী ইয়ারমিয়াকে মাবুদের ঘরে ঢুকবার তৃতীয় স্থানে ডেকে আনলেন। বাদশাহ্ ইয়ারমিয়াকে বললেন, “আমি আপনাকে একটা কথা জিজ্ঞাসা করব, আমার কাছ থেকে কিছুই লুকাবেন না।”
15 তখন ইয়ারমিয়া সিদিকিয়কে বললেন, “আমি যদি আপনাকে বলি তবে তো আপনি আমাকে হত্যা করবেন। আর আমি যদি আপনাকে পরামর্শ দিই তবে আপনি আমার কথা শুনবেন না।”
16 এতে বাদশাহ্ সিদিকিয় গোপনে ইয়ারমিয়ার কাছে কসম খেয়ে বললেন, “যিনি আমাদের শ্বাসবায়ু দিয়েছেন সেই আল্লাহ্র কসম যে, আমি আপনাকে হত্যা করব না বা যারা আপনাকে হত্যা করতে চাইছে তাদের হাতেও আপনাকে তুলে দেব না।”
17 তখন ইয়ারমিয়া সিদিকিয়কে বললেন, “ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন বলছেন, ‘তুমি যদি ব্যাবিলনের বাদশাহ্র সেনাপতিদের কাছে হার স্বীকার কর তবে তোমার প্রাণ বাঁচবে এবং এই শহরও পুড়িয়ে দেওয়া হবে না; তুমি ও তোমার পরিবার বাঁচবে।
18 কিন্তু যদি ব্যাবিলনের বাদশাহ্র সেনাপতিদের কাছে হার স্বীকার না কর তবে এই শহর ব্যাবিলনীয়দের হাতে তুলে দেওয়া হবে এবং তারা এটা পুড়িয়ে দেবে; আর তুমি নিজেও তাদের হাত থেকে রক্ষা পাবে না।’ ”
19 বাদশাহ্ সিদিকিয় তখন ইয়ারমিয়াকে বললেন, “যে সব ইহুদী ব্যাবিলনীয়দের কাছে গেছে আমি তাদের ভয় করি, কারণ ব্যাবিলনীয়রা হয়তো আমাকে তাদের হাতে তুলে দেবে আর তারা আমার সংগে খারাপ ব্যবহার করবে।”