22 জবাবে গেহসি বলল, “সবই ঠিক আছে। তবে আমার মালিক আপনাকে এই কথা বলবার জন্য আমাকে পাঠিয়েছেন যে, আফরাহীমের পাহাড়ী এলাকা থেকে শাগরেদ-নবীদের দু’জন যুবক এখনই তাঁর কাছে এসেছেন। তাই আপনি যেন দয়া করে তাদের জন্য ঊনচল্লিশ কেজি রূপা আর দুই সেট পোশাক দেন।”
23 নামান বললেন, “ঊনচল্লিশ কেজি কেন? তুমি আটাত্তর কেজি নাও।” তিনি সেগুলো নেবার জন্য গেহসিকে সাধাসাধি করতে লাগলেন এবং আটাত্তর কেজি রূপা দু’টা থলিতে বেঁধে দিলেন ও দুই সেট কাপড় দিলেন। সেগুলো তিনি তাঁর দুই গোলামের হাতে দিলেন আর তারা গেহসির আগে আগে সেগুলো বয়ে নিয়ে যেতে লাগল।
24 কেল্লার পাহাড়ের কাছে এসে গেহসি সেই গোলামদের কাছ থেকে সেগুলো নিয়ে ঘরের মধ্যে রাখল। তারপর সে তাদের বিদায় করে দিলে তারা চলে গেল।
25 এর পরে সে ভিতরে গিয়ে তার মালিক আল-ইয়াসার সামনে দাঁড়াল। আল-ইয়াসা জিজ্ঞাসা করলেন, “গেহসি, তুমি কোথায় গিয়েছিলে?”গেহসি বলল, “আপনার গোলাম কোথাও যায় নি।”
26 কিন্তু আল-ইয়াসা তাকে বললেন, “ঐ লোকটি যখন তোমার সংগে দেখা করবার জন্য রথ থেকে নেমেছিল তখন আমার মন কি তোমার সংগে যায় নি? টাকা-পয়সা, কাপড়-চোপড়, জলপাইয়ের বাগান, আংগুর ক্ষেত, গরু-ছাগল-ভেড়া ও গোলাম ও বাঁদী নেবার এটাই কি সময়?
27 কাজেই নামানের চর্মরোগ তোমার ও তোমার বংশধরদের মধ্যে চিরকাল লেগে থাকবে।” তখন গেহসি আল-ইয়াসার সামনে থেকে চলে গেল আর তার গা চর্মরোগে তুষারের মত হয়ে গেল।