1 পরে আমি দৃষ্টিপাত করলাম, আর দেখ, কারুবীদের মাথার উপরিস্থ শূন্যস্থানে যেন নীলকান্তমণি বিরাজমান, সিংহাসনের মূর্তিবিশিষ্ট একটি আকৃতি তাদের উপরে প্রকাশ পেল।
2 পরে তিনি ঐ মসীনা-কাপড় পরা ব্যক্তিকে বললেন, তুমি ঐ ঘূর্ণায়মান চাকাগুলোর মধ্যস্থানে কারুবীর নিচে প্রবেশ কর এবং কারুবীদের মধ্যস্থান থেকে দু’হাত ভরে জ্বলন্ত অঙ্গার নিয়ে নগরের উপরে নিক্ষেপ কর; তাতে সেই ব্যক্তি আমার সাক্ষাতে সেখানে প্রবেশ করলো।
3 যখন সেই পুরুষ প্রবেশ করলো, তখন কারুবীগণ এবাদতখানার দক্ষিণ পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং ভিতরের প্রাঙ্গণ মেঘে পরিপূর্ণ ছিল।
4 আর মাবুদের মহিমা কারুবীর উপর থেকে উঠে এবাদতখানার গোবরাটের উপরে দাঁড়াল এবং এবাদতখানা মেঘে পরিপূর্ণ ও প্রাঙ্গণ মাবুদের মহিমার তেজে পরিপূর্ণ হল।
5 আর কারুবীদের পাখার আওয়াজ বাইরের প্রাঙ্গণ পর্যন্ত শোনা যাচ্ছিল, সেটি সর্বশক্তিমান আল্লাহ্র কথা বলার আওয়াজের মত।
6 আর তিনি যখন ঐ মসীনা-কাপড় পরা পুরুষকে এই হুকুম দিলেন, ‘তুমি এই ঘূর্ণায়মান চাকাগুলোর মধ্য থেকে, কারুবীদের মধ্যস্থান থেকে, আগুন নাও,’ তখন সে প্রবেশ করে একটি চাকার পাশে দাঁড়ালো।
7 তখন এক জন কারুবী তাদের মধ্য থেকে কারুবীদের মধ্যস্থিত আগুন পর্যন্ত হাত বাড়িয়ে তার কিছু নিয়ে ঐ মসীনার পোশাক পরা পুরুষের অঞ্জলিতে দিল, আর সে তা নিয়ে বাইরে গেল।
8 আর কারুবীদের পাখাগুলোর নিচে মানুষের হাতের আকৃতি প্রকাশ পেল।
9 পরে আমি দৃষ্টিপাত করলাম, আর দেখ, এক জন কারুবীর পাশে একটি চাকা, অন্য কারুবীর পাশে অন্য চাকা, এভাবে চার জন কারুবীর পাশে চারটি চাকা; ঐ চাকাগুলোর আভা বৈদুর্ষমণির প্রভার মত।
10 তাদের আকৃতি এই, চারটির রূপ একই ছিল; যেন চাকার মধ্যে চাকা রয়েছে।
11 গমনকালে তারা নিজেদের চার পাশে গমন করতো; গমনকালে ফিরতো না; যে স্থান মাথার সম্মুখ, সেই স্থানে তারা তার পিছনে গমন করতো, গমনকালে ফিরতো না।
12 আর তাদের সর্বাঙ্গ, তাদের পিঠ, হাত ও পাখা এবং চাকাগুলোর চারদিকে চোখে পরিপূর্ণ ছিল, চারটির চাকায় চোখ ছিল।
13 আর আমি শুনলাম, সেই চাকাগুলোকে কেউ উচ্চৈঃস্বরে বললো, ঘূর্ণায়মান চাকা।
14 প্রত্যেক প্রাণীর চারটি মুখ; প্রথম কারুবীর মুখ, দ্বিতীয় মানুষের মুখ, তৃতীয় সিংহের মুখ ও চতুর্থ ঈগল পাখির মুখ।
15 তখন কারুবীরা উপরে উঠে গেল। আমি কবার নদীর তীরে সেই প্রাণীকে দেখেছিলাম।
16 কারুবীদের গমনকালে চাকাগুলোও তাদের পাশে পাশে যেত; এবং কারুবীরা যখন ভূতল থেকে উপরে উঠে যাবার জন্য নিজ পাখা উঠাত, চাকাগুলোও তখন তাদের পাশ ছাড়তো না।
17 ওরা দাঁড়ালে এরাও দাঁড়াত এবং ওরা উঠলে এরাও একসঙ্গে উঠত, কেননা ঐ চাকাগুলোতে সেই প্রাণীর রূহ্ ছিল।
18 পরে মাবুদের মহিমা গৃহের গোবরাটের উপর থেকে প্রস্থান করে কারুবীদের উপরে দাঁড়ালো।
19 তখন কারুবীরা আমার দৃষ্টিগোচরে প্রস্থানকালে পাখা মেলে ভূতল থেকে উপরে দিকে গমন করলো; এবং তাদের পাশে চাকাগুলোও গমন করলো; পরে কারুবীরা মাবুদের গৃহের পূর্বদ্বারের প্রবেশ-স্থানে দাঁড়াল; তখন ইসরাইলের আল্লাহ্র মহিমা উর্ধ্বে তাদের উপরে ছিল।
20 আমি কবার নদীর কাছে ইসরাইলের আল্লাহ্র বাহন সেই প্রাণীকে দেখেছিলাম; আর এরা যে কারুবী, তা জানলাম।
21 প্রত্যেক প্রাণীর চারটি মুখ ও চারটি পাখা এবং তাদের পাখার নিচে মানুষের হাতের মূর্তি ছিল।
22 আমি কবার নদীর কাছে যে যে মুখ দেখেছিলাম, সেগুলো এদেরই মুখের মূর্তি; এরা তাদেরই আকৃতিবিশিষ্ট; বাস্তবিক এরা সেই প্রাণী; প্রত্যেক প্রাণী সম্মুখ দিকেই গমন করতো।