1 পরে মাবুদের এই কালাম আমার কাছে নাজেল হল,
2 ‘পূর্বপুরুষেরা টক আঙ্গুর ফল খায়, তাই সন্তানদের দাঁত টকে যায়,’ এই যে প্রবাদ তোমরা ইসরাইল-দেশের বিষয়ে বল, এতে তোমাদের অভিপ্রায় কি?
3 সার্বভৌম মাবুদ বলেন, আমার জীবনের কসম ইসরাইলের মধ্যে তোমাদের এই প্রবাদের ব্যবহার আর করতে হবে না।
4 দেখ, সমস্ত প্রাণ আমার; যেমন পিতার প্রাণ, তেমনি সন্তানের প্রাণও আমার; যে প্রাণী গুনাহ্ করে, সেই মরবে।
5 পরন্তু কোন ব্যক্তি যদি ধার্মিক হয় এবং ন্যায় ও সঠিক কাজ করে,
6 পর্বতের উপরে ভোজন না করে, ইসরাইল-কুলের মূর্তিগুলোর প্রতি দৃষ্টিপাত না করে, নিজের প্রতিবেশীর স্ত্রীকে ভ্রষ্ট না করে ও ঋতুমতী স্ত্রীর কাছেও না যায়;
7 এবং কারো প্রতি দৌরাত্ম্য না করে; ঋণীকে বন্ধক ফিরিয়ে দেয়, কারো দ্রব্য বলপূর্বক অপহরণ না করে, ক্ষুধিত লোককে খাদ্য দেয় ও উলঙ্গকে কাপড় পরায়,
8 সুদের লোভে ঋণ না দেয়, কোন সুদ না নেয়, অন্যায় থেকে নিজের হাত বিরত রাখে, মানুষের মধ্যে যথার্থ বিচার করে,
9 আমার বিধিপথে চলে এবং সত্য আচরণের উদ্দেশে আমার অনুশাসনগুলো পালন করে, তবে সেই ব্যক্তি ধার্মিক; সে অবশ্য বাঁচবে; এই কথা সার্বভৌম মাবুদ বলেন।
10 কিন্তু সেই ব্যক্তির পুত্র যদি দস্যু ও রক্তপাতকারী হয় এবং সেই রকম কোন একটা কাজ করে; সেসব করণীয় কোন কাজ না করে;
11 যদি পর্বতের উপরে ভোজন করে থাকে ও নিজের প্রতিবেশীর স্ত্রীকে ভ্রষ্ট করে থাকে,
12 দুঃখী দরিদ্রের প্রতি দৌরাত্ম্য করে থাকে, পরের দ্রব্য বলপূর্বক অপহরণ করে থাকে, বন্ধক দ্রব্য ফিরিয়ে না দিয়ে থাকে এবং মূর্তিগুলোর প্রতি দৃষ্টিপাত করে থাকে, ঘৃণার কাজ করে থাকে;
13 যদি সুদের লোভে ঋণ দিয়ে থাকে ও বৃদ্ধি নিয়ে থাকে, তবে সে কি বাঁচবে? সে বাঁচবে না; সে এসব ঘৃণার কাজ করেছে; সে মরবেই মরবে; তার রক্ত তারই উপরে বর্তাবে।
14 আবার দেখ, এর পুত্র যদি তার পিতার কৃত সমস্ত গুনাহ্ দেখে বিবেচনা করে ও সেই রকম কাজ না করে,
15 পর্বতের উপরে ভোজন না করে, ইসরাইল-কুলের মূর্তিগুলোর প্রতি দৃষ্টিপাত না করে, নিজের প্রতিবেশীর স্ত্রীকে ভ্রষ্ট না করে,
16 কারো প্রতি দৌরাত্ম্য না করে, বন্ধক দ্রব্য না রাখে, কারো দ্রব্য বলপূর্বক অপহরণ না করে, কিন্তু যার খিদে পেয়েছে তাকে খাবার দেয় ও উলঙ্গকে কাপড় পরায়,
17 দুঃখী লোকের প্রতি জুলুম থেকে নিজের হাত ফিরিয়ে রাখে, সুদ বা বৃদ্ধি না নেয়, আমার অনুশাসন সকল পালন করে ও আমার বিধিপথে গমন করে, তবে সে তার পিতার অপরাধে মরবে না, সে অবশ্য বাঁচবে।
18 কিন্তু তার পিতা ভারী জুলুম করতো, ভাইয়ের দ্রব্য বলপূর্বক অপহরণ করতো, স্বজাতীয় লোকদের মধ্যে অসৎকর্ম করতো; তাই দেখ, সে নিজের অপরাধে মারা পড়লো।
19 কিন্তু তোমরা বলছো, ‘সেই পুত্র কেন পিতার অপরাধ বহন করে না?’ সেই পুত্র তো ন্যায় ও সঠিক কাজ করেছে এবং আমার বিধিগুলো রক্ষা করেছে, সেসব পালন করেছে; সে অবশ্য বাঁচবে।
20 যে প্রাণী গুনাহ্ করে, সেই মরবে; পিতার অপরাধ পুত্র বহন করবে না; ও পুত্রের অপরাধ পিতা বহন করবে না; ধার্মিকের ধার্মিকতা তার উপরে বর্তাবে ও দুষ্টের নাফরমানী তার উপরে বর্তাবে।
21 এছাড়া, দুষ্ট লোক যদি নিজের করা সমস্ত গুনাহ্ থেকে ফেরে ও আমার বিধিগুলো পালন করে এবং ন্যায় ও সঠিক কাজ করে, তবে সে অবশ্য বাঁচবে; সে মারা যাবে না।
22 তার পূর্বকৃত কোন অধর্ম তার বলে স্মরণে আনা যাবে না; সে যে সঠিক কাজ করেছে, তাতে বাঁচবে।
23 দুষ্ট লোকের মরণে কি আমার কিছু সন্তোষ আছে? এই কথা সার্বভৌম মাবুদ বলেন; বরং সে তার কুপথ থেকে ফিরে বাঁচে, এতে কি আমার সন্তোষ হয় না?
24 আর ধার্মিক লোক যদি তার ধার্মিকতা থেকে ফিরে অন্যায় করে ও দুষ্টের কৃত সমস্ত ঘৃণার কাজ অনুসারে আচরণ করে, তবে সে কি বাঁচবে? তার কৃত কোন ধর্মকর্ম স্মরণে আনা যাবে না; সে যে বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে ও যে গুনাহ্ করেছে, তাতেই তার মৃত্যু হবে।
25 কিন্তু তোমরা বলছো, ‘প্রভুর পথ সরল নয়’। হে ইসরাইল-কুল, একবার শোন; আমার পথ কি সরল নয়?
26 তোমাদের পথ কি অসরল নয়? ধার্মিক লোক যখন তার ধার্মিকতা থেকে ফিরে অন্যায় করে ও তাতে মারা যায়, তখন নিজের কৃত অন্যায়েই মারা যায়।
27 আর দুষ্ট লোক যখন নিজের কৃত নাফরমানী থেকে ফিরে ন্যায় ও সঠিক কাজ করে, তখন তার প্রাণ বাঁচায়।
28 সে বিবেচনা করে নিজের কৃত সমস্ত অধর্ম থেকে ফিরল, এজন্য সে অবশ্য বাঁচবে; সে মরবে না।
29 কিন্তু ইসরাইল-কুল বলছে, প্রভুর পথ সরল নয়। হে ইসরাইল-কুল, আমার পথ কি সরল নয়? তোমাদের পথ কি অসরল নয়?
30 অতএব হে ইসরাইল-কুল, আমি তোমাদের প্রত্যেকের আচার ব্যবহার অনুসারে তোমাদের বিচার করবো, এই কথা সার্বভৌম মাবুদ বলেন। তোমরা ফের, নিজেদের কৃত সমস্ত অধর্ম থেকে মন ফিরাও, তা না হলে তোমাদের অপরাধ তোমাদের ধ্বংস করে দেবে।
31 তোমরা নিজেদের করা সমস্ত অধর্ম নিজেদের থেকে দূরে ফেলে দাও এবং নিজেদের জন্য নতুন হৃদয় ও নতুন রূহ্ প্রস্তুত কর; কেননা, হে ইসরাইল-কুল, তোমরা কেন মরবে?
32 কারণ যে মারা যায়, তার মরণে আমার কোন সন্তোষ নেই, এই কথা সার্বভৌম মাবুদ বলেন; অতএব তোমরা মন ফিরিয়ে বাঁচ।