1 আদমের বংশের বর্ণনা এই— যেদিন আল্লাহ্ মানুষ সৃষ্টি করলেন, সেদিন আল্লাহ্র সাদৃশ্যেই তাঁকে সৃষ্টি করলেন;
2 পুরুষ ও স্ত্রী করে মানবজাতি সৃষ্টি করলেন, তিনি সেই সৃষ্টিদিনে তাঁদের দোয়া করে নাম দিলেন আদম।
3 পরে আদম এক শত ত্রিশ বছর বয়সে তাঁর নিজের সাদৃশ্যে ও প্রতিমূর্তিতে পুত্রের জন্ম দিয়ে তার নাম শিস রাখলেন।
4 শিসের জন্মের পর আদম আট শত বছর জীবিত থেকে আরও পুত্র ও কন্যার জন্ম দিলেন।
5 সর্বমোট আদমের নয় শত ত্রিশ বছর বয়স হলে তিনি ইন্তেকাল করলেন।
6 শিস এক শত পাঁচ বছর বয়সে আনুশের জন্ম দিলেন।
7 আনুশের জন্মের পর শিস আট শত সাত বছর জীবিত থেকে আরও পুত্র ও কন্যার জন্ম দিলেন।
8 সর্বমোট শিসের নয় শত বারো বছর বয়স হলে তিনি ইন্তেকাল করলেন।
9 আনুশ নব্বই বছর বয়সে কৈননের জন্ম দিলেন।
10 কৈননের জন্মের পর আনুশ আট শত পনের বছর জীবিত থেকে আরও পুত্র ও কন্যার জন্ম দিলেন।
11 সর্বমোট আনুশের নয় শত পাঁচ বছর বয়স হলে তিনি ইন্তেকাল করলেন।
12 কৈনন সত্তর বছর বয়সে মাহলাইলের জন্ম দিলেন।
13 মাহলাইলের জন্মের পর কৈনন আট শত চল্লিশ বছর জীবিত থেকে আরও পুত্র ও কন্যার জন্ম দিলেন।
14 সর্বমোট কৈননের নয় শত দশ বছর বয়স হলে তাঁর মৃত্যু হল।
15 মাহলাইল পঁয়ষট্টি বছর বয়সে ইয়ারুদের জন্ম দিলেন।
16 ইয়ারুদের জন্মের পর মাহলাইল আট শত ত্রিশ বছর জীবিত থেকে আরও পুত্র ও কন্যার জন্ম দিলেন।
17 সর্বমোট মাহলাইলের আট শত পঁচানব্বই বছর বয়স হলে তিনি ইন্তেকাল করলেন।
18 ইয়ারুদ এক শত বাষট্টি বছর বয়সে হনোকের জন্ম দিলেন।
19 হনোকের জন্মের পর ইয়ারুদ আট শত বছর জীবিত থেকে আরও পুত্র ও কন্যার জন্ম দিলেন।
20 সর্বমোট ইয়ারুদের নয় শত বাষট্টি বছর বয়স হলে তিনি ইন্তেকাল করলেন।
21 হনোক পঁয়ষট্টি বছর বয়সে মুতাওশালেহের জন্ম দিলেন।
22 মুতাওশালেহের জন্মের পর হনোক তিন শত বছর আল্লাহ্র সঙ্গে গমনাগমন করলেন এবং আরও পুত্র ও কন্যার জন্ম দিলেন।
23 সর্বমোট হনোক তিন শত পঁয়ষট্টি বছর রইলেন।
24 হনোক আল্লাহ্র সঙ্গে গমনাগমন করতেন। পরে তিনি আর রইলেন না, কেননা আল্লাহ্ তাঁকে নিজের কাছেই তুলে নিলেন।
25 মুতাওশালেহ এক শত সাতাশি বছর বয়সে লামাকের জন্ম দিলেন।
26 লামাকের জন্মের পর মুতাওশালেহ সাত শত বিরাশি বছর জীবিত থেকে আরও পুত্র ও কন্যার জন্ম দিলেন।
27 সর্বমোট মুতাওশালেহের নয় শত ঊনসত্তর বছর বয়স হলে তিনি ইন্তেকাল করলেন।
28 লামাক এক শত বিরাশি বছর বয়সে পুত্রের জন্ম দিয়ে তার নাম নূহ্ (বিশ্রাম) রাখলেন;
29 কেননা তিনি বললেন, মাবুদ কর্তৃক বদদোয়াগ্রস্ত ভূমি থেকে আমাদের যে পরিশ্রম ও কষ্ট হয়, সেই বিষয়ে এই ছেলেটিই আমাদের সান্ত্বনা দেবে।
30 নূহের জন্মের পর লামাক পাঁচ শত পঁচানব্বই বছর জীবিত থেকে আরও পুত্র ও কন্যার জন্ম দিলেন।
31 সর্বমোট লামাকের সাত শত সাতাত্তর বছর বয়স হলে তিনি ইন্তেকাল করলেন।
32 পরে নূহ্ পাঁচ শত বছর বয়সে সাম, হাম ও ইয়াফসের জন্ম দিলেন।