33 মোয়াবের ফলের বাগান, অর্থাৎ মোয়াব দেশ থেকে আনন্দ ও খুশীর ভাব চলে গেছে। আমি আংগুর মাড়াইয়ের জায়গা থেকে আংগুর-রসের স্রোত বন্ধ করেছি; আনন্দের চিৎকারের সংগে আর সেগুলো কেউ মাড়াই করে না। যদিও চেঁচামেচি আছে কিন্তু সেগুলো আনন্দের চিৎকার নয়।
34 “তাদের কান্নার শব্দ হিশ্বোন থেকে ইলিয়ালী ও যহস পর্যন্ত, সোয়র থেকে হোরোণয়িম ও ইগ্লৎ-শলিশীয়া পর্যন্ত উঠেছে, কারণ নিম্রীমের জলও শুকিয়ে যাচ্ছে।
35 আমি সদাপ্রভু বলছি, মোয়াবে যারা পূজার উঁচু স্থানে উৎসর্গের অনুষ্ঠান করে ও তাদের দেব-দেবতার উদ্দেশে ধূপ জ্বালায় আমি তাদের শেষ করে দেব।
36 তাই মোয়াবের ও কীর-হেরেসের লোকদের জন্য আমার অন্তর বাঁশীর সুরের মত করে বিলাপ করছে। তারা যে ধন জমা করেছিল তা শেষ হয়ে গেছে।
37 দুঃখ প্রকাশের জন্য সকলের মাথা কামানো ও দাড়ি কেটে ফেলা হয়েছে; প্রত্যেকের হাতে কাটাকুটি করা ও কোমরে ছালার চট পরানো হয়েছে।
38 মোয়াবের সমস্ত বাড়ীর ছাদের উপরে ও শহর-চকে বিলাপ ছাড়া আর কিছু শোনা যায় না, কারণ যে পাত্র কেউ চায় না তেমন পাত্রের মতই আমি মোয়াবকে ভেংগে ফেলেছি।
39 সে কেমন চুরমার হয়েছে! লোকে কেমন করে তার জন্য বিলাপ করছে! মোয়াব লজ্জায় কেমন করে তার পিঠ ফিরিয়েছে! মোয়াব তার চারপাশের সমস্ত লোকদের কাছে হাসি-ঠাট্টার পাত্র হয়েছে, আর তার অবস্থা দেখে সেই লোকেরা হতভম্ব হয়েছে।”