11 তারা যদি তাদের সব কাজের জন্য লজ্জিত হয় তবে উপাসনা-ঘরের নক্শাটার খুঁটিনাটি তাদের জানাও; তার কাঠামো, তার বাইরে যাবার ও ভিতরে ঢুকবার পথ, অর্থাৎ তার পুরো নক্শা ও তার সব নিয়ম ও আইন-কানুন তাদের কাছে প্রকাশ কর। তার সব কিছু তাদের সামনে লেখ যাতে তারা তার নক্শা অনুসারে কাজ করতে পারে এবং তার সব নিয়ম মেনে চলতে পারে।
12 “এই হল উপাসনা-ঘরের আইন- পাহাড়ের উপরকার চারদিকের সব এলাকা হবে মহা পবিত্র। উপাসনা-ঘরের আইন এই রকমই।
13 “উপাসনা-ঘরের বেদীর মাপ হাতের মাপ অনুসারে করা হয়েছিল; প্রত্যেক হাত ছিল এক হাত চার আংগুল করে। এই হল বেদীর মাপ: বেদীর ভিত্তিটা এক হাত উঁচু ও তার চারদিক বেদী থেকে এক হাত করে বাড়ানো এবং ভিত্তির চারদিকের কিনারা আধ হাত উঁচু। বেদীটা এই রকম উঁচু হবে-
14-16 নীচের অংশটা ভিত্তি থেকে দু’হাত উঁচু; তার উপরের অংশটা চার হাত উঁচু কিন্তু নীচের অংশ থেকে চারদিকে এক হাত করে ছোট এবং তার উপরের অংশটা তার নীচের অংশ থেকে চার হাত উঁচু, কিন্তু নীচের অংশ থেকে চারদিকে এক হাত করে ছোট। বেদীর উপরের অংশটা হবে চৌকো, বারো হাত লম্বা ও বারো হাত চওড়া। তার চারকোণা থেকে চারটা শিং উপর দিকে বেরিয়ে থাকবে।
17 মাঝখানের অংশটাও চৌকো, চৌদ্দ হাত লম্বা ও চৌদ্দ হাত চওড়া। কাজেই সেই অংশটা তার উপরের অংশ থেকে চারদিকে এক হাত বাড়ানো থাকবে; তার কিনারা আধা হাত উঁচু থাকবে। বেদীর সিঁড়িগুলো পূর্বমুখী।”
18 তারপর তিনি আমাকে বললেন, “হে মানুষের সন্তান, প্রভু সদাপ্রভু বলছেন যে, বেদীটা তৈরী হলে পর যেদিন সেটি সদাপ্রভুর উদ্দেশে উৎসর্গ করা হবে যাতে তার উপর পোড়ানো-উৎসর্গের অনুষ্ঠান করা ও রক্ত ছিটানো যায় সেই দিন এই নিয়ম পালন করতে হবে:
19 সাদোকের বংশের যে পুরোহিতেরা আমার সেবা করবার জন্য আমার কাছে আসে তুমি পাপ-উৎসর্গের জন্য তাদের একটা যুবা ষাঁড় দেবে।