1 তারপর তিনি আমাকে উপাসনা-ঘরে ঢুকবার মুখের কাছে ফিরিয়ে আনলেন, আর আমি দেখলাম উপাসনা-ঘরের ঢুকবার মুখের তলা থেকে জল বের হয়ে পূর্ব দিকে বয়ে যাচ্ছে। উপাসনা-ঘরটা পূর্বমুখী ছিল। সেই জল উপাসনা-ঘরের দক্ষিণ পাশের তলা থেকে বেদীর দক্ষিণ পাশ দিয়ে বয়ে যাচ্ছিল।
2 পরে তিনি উত্তর-ফটকের মধ্য দিয়ে আমাকে বের করে আনলেন এবং বাইরের পথ দিয়ে ঘুরিয়ে পূর্বমুখী বাইরের ফটকের কাছে নিয়ে গেলেন; সেই ফটকের দক্ষিণ পাশ দিয়ে অল্প জল বয়ে যাচ্ছিল।
3 মাপের দড়ি হাতে নিয়ে তিনি মাপতে মাপতে এক হাজার হাত পূর্ব দিকে গেলেন। সেখানে তিনি আমাকে গোড়ালি-ডোবা জলের মধ্য দিয়ে নিয়ে গেলেন।
4 তারপর তিনি আর এক হাজার হাত মেপে আমাকে হাঁটু জলের মধ্য দিয়ে নিয়ে গেলেন। তারপর তিনি আর এক হাজার হাত মেপে কোমর পর্যন্ত জলের মধ্য দিয়ে আমাকে নিয়ে গেলেন।
5 তারপর তিনি আর এক হাজার হাত মাপলেন, কিন্তু জল তখন নদী হয়ে যাওয়াতে আমি পার হতে পারলাম না, কারণ জল বেড়ে গিয়েছিল এবং সাঁতার দেবার মত গভীর হয়েছিল। সেটা এমন নদী হয়েছিল যা কেউ হেঁটে পার হতে পারে না।
6 তিনি আমাকে বললেন, “হে মানুষের সন্তান, তুমি কি এটা দেখলে?”তারপর তিনি আমাকে নদীর কিনারায় ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন।
7 সেখানে পৌঁছে আমি নদীর দু’ধারেই অনেক গাছপালা দেখতে পেলাম।
8 তিনি আমাকে বললেন, “এই জল পূর্ব দিকে বয়ে যাচ্ছে এবং অরাবার মধ্য দিয়ে মরু-সাগরে গিয়ে পড়ছে। যখন সেটা গিয়ে সাগরে পড়ে তখন সেখানকার জল মিষ্টি হয়ে যায়।
9 যেখান দিয়ে এই নদীটা বয়ে যাবে সেখানে সব রকমের ঝাঁক-বাঁধা জীবন্ত প্রাণী ও প্রচুর মাছ বাস করবে। এই জল যেখান দিয়ে বয়ে যাবে সেখানকার জল মিষ্টি করে তুলবে; কাজেই যেখান দিয়ে নদীটা বয়ে যাবে সেখানকার সব কিছুই বাঁচবে।
10 জেলেরা নদীর কিনারায় দাঁড়াবে; ঐন্-গদী থেকে ঐন্-ইগ্লয়িম পর্যন্ত জাল মেলে দেবার জায়গা হবে। ভূমধ্য সাগরের মাছের মত সেখানেও নানা রকমের অনেক মাছ পাওয়া যাবে।
11 কিন্তু জলা জায়গা ও বিলের জল মিষ্টি হবে না; সেগুলো লবণের জন্য থাকবে।
12 নদীর দুই ধারেই সব রকমের ফলের গাছ জন্মাবে। সেগুলোর পাতা শুকিয়ে যাবে না, ফলও শেষ হবে না। প্রতি মাসেই তাতে ফল ধরবে, কারণ উপাসনা-ঘর থেকে সেখানে জল বয়ে আসবে। সেগুলোর ফল খাবার জন্য আর পাতা সুস্থ হবার জন্য ব্যবহার করা হবে।”
13-14 তারপর প্রভু সদাপ্রভু বললেন, “তোমরা সম্পত্তি হিসাবে ইস্রায়েলের বারো গোষ্ঠীর মধ্যে দেশটা এইভাবে ভাগ করে দেবে। তোমরা সবাই সমান ভাগে ভাগ করে নেবে কিন্তু যোষেফ দুই অংশ পাবে। এই দেশটা আমি তোমাদের পূর্বপুরুষদের দেব বলে শপথ করেছিলাম এবং এই দেশ তোমাদেরই সম্পত্তি হবে।
15 “দেশের সীমানা হবে এই: উত্তর দিকের সীমানা হবে ভূমধ্য সাগর থেকে লেবো-হমাৎ ছাড়িয়ে হিৎলোনের রাস্তা বরাবর সদাদ পর্যন্ত;
16 সেখান থেকে দামেস্ক ও হমাতের সীমানার মধ্যে থাকা বরোথা ও সিব্রয়িম পর্যন্ত; সেখান থেকে হৌরণের সীমানার পাশের হৎসর-হত্তীকোন পর্যন্ত।
17 এই সীমানা চলে যাবে ভুমধ্য সাগর থেকে দামেস্কের উত্তর সীমার পাশে হৎসোর-ঐনন পর্যন্ত, অর্থাৎ হমাতের সীমানা পর্যন্ত। এটাই হবে উত্তর দিকের সীমানা।
18 পূর্ব দিকের সীমানা হৌরণ ও দামেস্কের মধ্য দিয়ে গিলিয়দ ও ইস্রায়েল দেশের মধ্যেকার যর্দন নদী বরাবর গিয়ে মরু-সাগর পর্যন্ত চলে যাবে। এটাই হবে পূর্ব দিকের সীমানা।
19 দক্ষিণ দিকের সীমানা মরু-সাগরের তামর থেকে কাদেশের মরীবৎ জল পর্যন্ত গিয়ে মিসরের শুকনা নদী বরাবর ভূমধ্য সাগর পর্যন্ত চলে যাবে। এটাই হবে দক্ষিণের সীমানা।
20 পশ্চিম দিকের সীমানা হবে ভূমধ্য সাগর বরাবর লেবো-হমাতের উল্টা দিক পর্যন্ত। এটাই হবে পশ্চিম দিকের সীমানা।
21 “ইস্রায়েলের গোষ্ঠীগুলো অনুসারে তোমরা নিজেদের মধ্যে দেশটা ভাগ করে নেবে।
22 তোমাদের মধ্যে যে সব বিদেশী তাদের ছেলেমেয়ে নিয়ে স্থায়ীভাবে বাস করছে তাদের জন্য ও তোমাদের জন্য দেশটা সম্পত্তি হিসাবে ভাগ করে দেবে। তাদের তোমরা দেশে জন্মানো ইস্রায়েলীয় হিসাবে ধরবে। তোমাদের সংগে তারাও ইস্রায়েলের গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সম্পত্তি হিসাবে জমির ভাগ পাবে।
23 যে গোষ্ঠীর মধ্যে সেই বিদেশী বাস করবে সেখানেই তোমরা তাকে জমির অধিকার দেবে। আমি প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলছি।”