30 ফসল কাটবার সময় পর্যন্ত ওগুলো একসংগে বাড়তে দাও। যারা ফসল কাটে, আমি তখন তাদের বলব যেন তারা প্রথমে শ্যামাঘাসগুলো জড়ো করে পোড়াবার জন্য আঁটি আঁটি করে বাঁধে, আর তার পরে গম আমার গোলায় জমা করে।’ ”
31 যীশু তাদের আর একটা গল্প বললেন। গল্পটা এই: “স্বর্গ-রাজ্য এমন একটা সর্ষে-দানার মত যা একজন লোক নিয়ে নিজের জমিতে লাগাল।
32 সমস্ত বীজের মধ্যে ওটা সত্যিই সবচেয়ে ছোট, কিন্তু গাছ হয়ে বেড়ে উঠলে পর তা সমস্ত শাক-সব্জীর মধ্যে সবচেয়ে বড় হয়। ওটা এমন একটা বড় গাছ হয়ে ওঠে যে, পাখীরা এসে তার ডালপালায় বাসা বাঁধে।”
33 তিনি তাদের আর একটা গল্প বললেন। গল্পটা এই: “স্বর্গ-রাজ্য খামির মত। একজন স্ত্রীলোক তা নিয়ে আঠারো কেজি ময়দার মধ্যে মিশাল। ফলে সমস্ত ময়দাই ফেঁপে উঠল।”
34 যীশু গল্পের মধ্য দিয়ে লোকদের এই সব শিক্ষা দিলেন। তিনি গল্প ছাড়া কোন শিক্ষাই তাদের দিতেন না।
35 এটা হল যাতে নবীর মধ্য দিয়ে এই যে কথা বলা হয়েছিল তা পূর্ণ হয়:শিক্ষা-ভরা উদাহরণের মধ্য দিয়ে আমি মুখ খুলব;জগতের আরম্ভ থেকে যা যা লুকানো ছিল, তা বলব।
36 পরে যীশু লোকদের ছেড়ে ঘরে ঢুকলেন। তখন তাঁর শিষ্যেরা এসে তাঁকে বললেন, “জমির ঐ শ্যামাঘাসের গল্পটা আমাদের বুঝিয়ে দিন।”