21 সেই সময় থেকে যীশু তাঁর শিষ্যদের জানাতে লাগলেন যে, তাঁকে যিরূশালেমে যেতে হবে এবং বৃদ্ধ নেতাদের, প্রধান পুরোহিতদের ও ধর্ম- শিক্ষকদের হাতে অনেক দুঃখভোগ করতে হবে। পরে তাঁকে মেরে ফেলা হবে এবং তৃতীয় দিনে মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠতে হবে।
22 তখন পিতর তাঁকে একপাশে নিয়ে গিয়ে অনুযোগ করে বললেন, “প্রভু, এ দূর হোক। আপনার উপর কখনও এমন হবে না।”
23 যীশু ফিরে পিতরকে বললেন, “আমার কাছ থেকে দূর হও, শয়তান। তুমি আমার পথের বাধা। যা ঈশ্বরের তা তুমি ভাবছ না কিন্তু যা মানুষের তা-ই ভাবছ।”
24 এর পরে যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, “যদি কেউ আমার পথে আসতে চায় তবে সে নিজের ইচ্ছামত না চলুক; নিজের ক্রুশ বয়ে নিয়ে সে আমার পিছনে আসুক।
25 যে কেউ তার নিজের জন্য বেঁচে থাকতে চায় সে তার সত্যিকারের জীবন হারাবে; কিন্তু যে কেউ আমার জন্য তার প্রাণ হারায় সে তার সত্যিকারের জীবন রক্ষা করবে।
26 যদি কেউ সমস্ত জগৎ লাভ করে তার বিনিময়ে তার সত্যিকারের জীবন হারায় তবে তার কি লাভ হল? সত্যিকারের জীবন ফিরে পাবার জন্য তার দেবার মত কি আছে?
27 মনুষ্যপুত্র তাঁর স্বর্গদূতদের সংগে নিয়ে তাঁর পিতার মহিমায় আসছেন। তখন তিনি প্রত্যেক লোককে তার কাজ অনুসারে ফল দেবেন।