2 ইয়ারমিয়া বলছিলেন, “মাবুদ এই কথা বলছেন, ‘যে কেউ এই শহরে থাকবে সে হয় যুদ্ধে না হয় দুর্ভিক্ষে কিংবা মহামারীতে মারা যাবে, কিন্তু যে কেউ ব্যাবিলনীয়দের কাছে যাবে সে মরবে না। সে তার প্রাণ কোনমতে বাঁচাতে পারবে।
3 এই শহর নিশ্চয়ই ব্যাবিলনের বাদশাহ্র সৈন্যদলের হাতে দিয়ে দেওয়া হবে; তারা এটা অধিকার করবে।’ ”
4 তখন রাজকর্মচারীরা বাদশাহ্কে বললেন, “এই লোকটিকে হত্যা করা উচিত। যে সব সৈন্যেরা ও লোকেরা এই শহরে রয়ে গেছে সে এই সব কথা বলে তাদের হতাশ করে দিচ্ছে। সে এই লোকদের উপকার না চেয়ে ক্ষতি চাইছে।”
5 জবাবে বাদশাহ্ সিদিকিয় বললেন, “সে তো আপনাদের হাতেই রয়েছে; বাদশাহ্ আপনাদের বিরুদ্ধে যেতে পারেন না।”
6 তখন তাঁরা ইয়ারমিয়াকে ধরে বাদশাহ্র ছেলে মল্কিয়ের কূয়াতে ফেলে দিলেন। এই কূয়াটা ছিল পাহারাদারদের উঠানের মধ্যে। তাঁরা ইয়ারমিয়াকে দড়ি দিয়ে সেই কূয়াতে নামিয়ে দিলেন। সেখানে পানি ছিল না, কেবল কাদা ছিল; আর ইয়ারমিয়া সেই কাদার মধ্যে ডুবে যেতে লাগলেন।
7 কিন্তু রাজবাড়ীর একজন কর্মচারী ইথিওপীয় এবদ-মেলক শুনতে পেলেন যে, ইয়ারমিয়াকে কূয়াতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। বাদশাহ্ তখন বিন্ইয়ামীন দরজায় বসে ছিলেন।
8 এবদ-মেলক রাজবাড়ী থেকে বের হয়ে বাদশাহ্কে গিয়ে বললেন,