15 কিন্তু ব্যাঙের উৎপাত থেকে রেহাই পেয়ে ফেরাউন আবার তাঁর মন শক্ত করে মূসা ও হারুনের কথা শুনলেন না। মাবুদ যা বলেছিলেন তা-ই হল।
16 তখন মাবুদ মূসাকে বললেন, “হারুনকে তার লাঠি তুলে মাটিতে ধুলার উপর আঘাত করতে বল। তাতে সেই ধুলা মশা হয়ে সারা মিসর দেশটা ছেয়ে ফেলবে।”
17 হারুন ও মূসা তা-ই করলেন। হারুন তাঁর হাতখানা বাড়িয়ে লাঠি দিয়ে মাটিতে ধুলার উপর আঘাত করলেন আর তাতে মানুষ ও পশুর উপর মশার উৎপাত দেখা দিল। মিসর দেশের সমস্ত ধুলাই মশা হয়ে গেল।
18 জাদুকরেরা তাদের জাদুমন্ত্রের জোরে মশা নিয়ে আসবার চেষ্টা করল কিন্তু পারল না। মানুষ এবং পশুর উপর মশা বসতে লাগল।
19 এই অবস্থা দেখে জাদুকরেরা ফেরাউনকে বলল, “এতে আল্লাহ্র আংগুলের ছোঁয়া রয়েছে।” কিন্তু তবুও ফেরাউনের মন কঠিনই রয়ে গেল; তিনি মূসা ও হারুনের কথায় কান দিলেন না। মাবুদ যা বলেছিলেন তা-ই হল।
20 পরে মাবুদ মূসাকে বললেন, “তুমি খুব ভোরে উঠবে এবং ফেরাউন যখন বাইরে নদীর ঘাটে যাবে তখন তুমি তার সামনে গিয়ে দাঁড়াবে। তাকে বলবে যে, মাবুদ বলছেন, ‘আমার এবাদত করবার জন্য আমার বান্দাদের যেতে দাও।
21 যদি তা না দাও তবে আমি তোমার উপর এবং তোমার সব কর্মচারী ও তোমার লোকদের উপর আর তোমার বাড়ী-ঘরে ঝাঁকে ঝাঁকে পোকা পাঠাচ্ছি। মিসরীয়দের বাড়ী-ঘর এবং সব জায়গা নানা রকম পোকায় ভরে যাবে।