হিজরত 20 MBCL

দশটি বিশেষ হুকুম

1 এর পর আল্লাহ্‌ বললেন,

2 “হে বনি-ইসরাইলরা, আমি আল্লাহ্‌ই তোমাদের মাবুদ। মিসর দেশের গোলামী থেকে আমিই তোমাদের বের করে এনেছি।

3 “আমার জায়গায় কোন দেবতাকে দাঁড় করাবে না।

4 “পূজার উদ্দেশ্যে তোমরা কোন মূর্তি তৈরী করবে না, তা আকাশের কোন কিছুর মত হোক বা মাটির উপরকার কোন কিছুর মত হোক কিংবা পানির মধ্যেকার কোন কিছুর মত হোক।

5 তোমরা তাদের পূজাও করবে না, তাদের সেবাও করবে না, কারণ কেবলমাত্র আমি আল্লাহ্‌ই তোমাদের মাবুদ। আমার পাওনা এবাদত আমি চাই। যারা আমাকে ঘৃণা করে তাদের গুনাহের শাস্তি আমি তাদের তৃতীয় ও চতুর্থ পুরুষ পর্যন্ত দিয়ে থাকি।

6 কিন্তু যারা আমাকে মহব্বত করে এবং আমার সব হুকুম পালন করে, হাজার হাজার পুরুষ পর্যন্ত তাদের প্রতি আমার বুক ভরা দয়া থাকবে।

7 “কোন বাজে উদ্দেশ্যে তোমরা তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌র নাম নেবে না। যে তা করবে তাকে মাবুদ শাস্তি দেবেন।

8 “বিশ্রামবার পবিত্র করে রাখবে এবং তা পালন করবে।

9 সপ্তার ছয় দিন তোমরা পরিশ্রম করবে এবং তোমাদের সমস্ত কাজ করবে,

10 কিন্তু সপ্তম দিনটা হল তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌র উদ্দেশ্যে বিশ্রামের দিন। সেই দিন তোমরা, তোমাদের ছেলেমেয়ে, তোমাদের গোলাম ও বাঁদী, তোমাদের পশু বা তোমাদের শহর ও গ্রামে বাস-করা অন্য জাতির লোক, মোট কথা, কারও কোন কাজ করা চলবে না।

11 মাবুদ ছয় দিনে আসমান, জমীন, সমুদ্র এবং সেগুলোর মধ্যেকার সব কিছু তৈরী করেছিলেন, কিন্তু সপ্তম দিনে সেই কাজ আর করেন নি। সেইজন্য তিনি এই বিশ্রাম দিনটাকে দোয়া করে পবিত্র করেছিলেন।

12 “তোমাদের পিতা-মাতাকে সম্মান করে চলবে। তাতে তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌র দেওয়া দেশে তোমরা অনেক দিন বেঁচে থাকবে।

13 “খুন কোরো না।

14 “জেনা কোরো না।

15 “চুরি কোরো না।

16 “কারও বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ো না।

17 “অন্যের ঘর-দুয়ার, স্ত্রী, গোলাম ও বাঁদী, গরু-গাধা কিংবা আর কিছুর উপর লোভ কোরো না।”

18 বনি-ইসরাইলরা যখন বিদ্যুৎ চম্‌কাতে এবং পাহাড় থেকে ধুমা উঠতে দেখল আর মেঘের গর্জন ও শিংগার আওয়াজ শুনল তখন তারা দূরে দাঁড়িয়ে কাঁপতে লাগল।

19 তারা মূসাকে বলল, “আপনি আমাদের সংগে কথা বলুন, আমরা শুনব; কিন্তু আল্লাহ্‌ যদি আমাদের সংগে কথা বলেন তবে আমরা মারা পড়ব।”

20 তখন মূসা লোকদের বললেন, “তোমরা ভয় কোরো না। আল্লাহ্‌ তোমাদের পরীক্ষার মধ্যে ফেলেছেন যাতে তোমাদের মনে ভয়ের ভাব থাকে এবং তার ফলে তোমরা গুনাহ্‌ না কর। সেইজন্যই তিনি এসেছেন।”

21 লোকেরা দূরে দাঁড়িয়ে রইল আর মূসা আল্লাহ্‌র কাছে সেই ঘন মেঘের দিকে এগিয়ে গেলেন।

কোরবানগাহ্‌ সম্বন্ধে নির্দেশ

22 মাবুদ মূসাকে বললেন, “তুমি বনি-ইসরাইলদের এই কথা বল, ‘আমি মাবুদ বেহেশত থেকে যে তোমাদের সংগে কথা বলেছি তা তোমরা নিজের চোখে দেখেছ।

23 তাই এবাদতের জন্য তোমরা কোন কিছু তৈরী করে আমার সংগে দাঁড় করাবে না। সোনা বা রূপা দিয়ে নিজেদের জন্য কোন দেব-দেবীও তৈরী করবে না।

24 তোমরা মাটি দিয়ে আমার জন্য একটা কোরবানগাহ্‌ তৈরী করবে, আর তার উপর তোমাদের পোড়ানো-কোরবানী এবং যোগাযোগ-কোরবানীর গরু-ছাগল-ভেড়া কোরবানী দেবে। যে সব জায়গায় আমি আমার নাম স্মরণ করিয়ে দেবার ব্যবস্থা করব সেই সব জায়গায় আমি উপস্থিত হয়ে তোমাদের দোয়া করব।

25 পাথর দিয়ে আমার জন্য কোন কোরবানগাহ্‌ তৈরী করতে গিয়ে সেই পাথরগুলো কাটবে না। তার উপর যন্ত্রপাতি ব্যবহার করলে তোমরা তা নাপাক করে ফেলবে।

26 আমার কোরবানগাহ্‌ এমনভাবে তৈরী কোরো যাতে তার উপর সিঁড়ি দিয়ে উঠতে না হয়, কারণ সিঁড়ি দিয়ে উঠতে গেলে তোমাদের উলংগতা প্রকাশ পাবে।’ ”

অধ্যায়

1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15 16 17 18 19 20 21 22 23 24 25 26 27 28 29 30 31 32 33 34 35 36 37 38 39 40