1 এর পর মাবুদ মূসাকে বললেন,
2 “বছরের প্রথম মাসের প্রথম দিনে তুমি আবাস-তাম্বুটা, অর্থাৎ মিলন-তাম্বুটা দাঁড় করাবে।
3 তার মধ্যে সাক্ষ্য-সিন্দুকটা রেখে তার পর্দা দিয়ে সেটা আড়াল করে দেবে।
4 টেবিলটাও ভিতরে এনে তার উপর যা রাখবার তা সাজিয়ে রাখবে। পরে বাতিদানটা এনে বাতিগুলো জ্বালিয়ে দেবে।
5 সাক্ষ্য-সিন্দুকের সামনে সোনার ধূপগাহ্টা রাখবে এবং আবাস-তাম্বুর দরজায় পর্দা টাংগাবে।
6 আবাস-তাম্বুর, অর্থাৎ মিলন-তাম্বুর দরজার সামনে পোড়ানো-কোরবানগাহ্টা রাখবে।
7 এই কোরবানগাহ্ এবং মিলন-তাম্বুর মাঝামাঝি জায়গায় গামলাটা রেখে তাতে পানি রাখবে।
8 তারপর উঠানের চারপাশ ঘিরে পর্দা টাংগাবে এবং তার দরজায়ও পর্দা দেবে।
9 “পরে অভিষেক-তেল নেবে এবং আবাস-তাম্বু ও তার মধ্যেকার সব কিছুর উপরে সেই তেল দিয়ে তা পবিত্র করে নেবে। তাতে সেগুলো পবিত্র জিনিস হবে।
10 সব বাসন-কোসন সুদ্ধ পোড়ানো-কোরবানগাহ্টার উপরও অভিষেক-তেল দিয়ে কোরবানগাহ্টা পাক-পবিত্র করে নেবে। তাতে সেটা মহাপবিত্র জিনিস হবে।
11 আসনসুদ্ধ গামলাটার উপর অভিষেক-তেল দিয়ে তা পাক-পবিত্র করবে।
12 “তারপর হারুন ও তাঁর ছেলেদের মিলন-তাম্বুর দরজার সামনে এনে পানি দিয়ে তাদের শরীর ধোয়াবে।
13 পরে হারুনকে পবিত্র পোশাকগুলো পরিয়ে অভিষেক করে পাক-পবিত্র করবে যাতে সে আমার ইমাম হতে পারে।
14 হারুনের ছেলেদের কাছে এনে তাদের ইমামের কোর্তা পরিয়ে দেবে।
15 তারপর তাদের পিতার মত করে তাদেরও অভিষেক করবে যাতে তারা আমার ইমাম হতে পারে। এই অভিষেক দ্বারা যে ইমাম-পদের সৃষ্টি হবে তা বংশের পর বংশ ধরে চলতে থাকবে।”
16 মাবুদ মূসাকে যেমন হুকুম দিয়েছিলেন মূসা সেইমতই সব কিছু করলেন।
17 দ্বিতীয় বছরের প্রথম মাসের প্রথম দিনে আবাস-তাম্বুটা দাঁড় করানো হল।
18 সেটা দাঁড় করাতে গিয়ে মূসা পা-দানিগুলো বসিয়ে ফ্রেমগুলো খাড়া করলেন। তিনি হুড়কাগুলো লাগালেন এবং খুঁটিগুলো বসালেন।
19 তারপর মাবুদের হুকুম মত তিনি আবাস-তাম্বুর উপরে ছাগলের লোম দিয়ে বুনানো টুকরাটি বিছিয়ে দিলেন এবং তার উপর দিলেন ছাউনি দু’টা।
20 তারপর মূসা সাক্ষ্য-ফলক দু’টা নিয়ে সিন্দুকের ভিতরে রাখলেন এবং সিন্দুকটার গায়ে ডাণ্ডা লাগালেন আর তার উপরে রাখলেন তার ঢাকনাখানা।
21 তারপর মাবুদের হুকুম মত তিনি সিন্দুকটা আবাস-তাম্বুর ভিতরে নিয়ে গেলেন এবং তার পর্দাটা ঝুলিয়ে সেটা আড়াল করে রাখলেন।
22-23 সেই পর্দার বাইরে উত্তর দিকে আবাস-তাম্বুর মধ্যেই, অর্থাৎ মিলন-তাম্বুর মধ্যেই তিনি টেবিলটা রাখলেন এবং মাবুদের হুকুম মত তাঁর সামনে টেবিলের উপর পবিত্র-রুটি সাজিয়ে রাখলেন।
24-25 দক্ষিণে, টেবিলটার উল্টাদিকে মাবুদের হুকুম মত বাতিদানটা রাখলেন এবং তার উপর মাবুদের সামনে বাতিগুলো জ্বালিয়ে দিলেন।
26-27 পর্দার সামনে ঐ মিলন-তাম্বুর মধ্যেই তিনি সোনার ধূপগাহ্টা রাখলেন এবং মাবুদের হুকুম মত তার উপর খোশবু ধূপ জ্বালালেন।
28 তারপর তিনি আবাস-তাম্বুর দরজায় পর্দা টাংগালেন।
29 আবাস-তাম্বুর, অর্থাৎ মিলন-তাম্বুর দরজার কাছে তিনি পোড়ানো-কোরবানগাহ্টা রাখলেন এবং মাবুদের হুকুম মত তিনি তার উপর পোড়ানো-কোরবানীর এবং শস্য-কোরবানী দিলেন।
30 সেই কোরবানগাহ্ এবং মিলন-তাম্বুর মাঝামাঝি জায়গায় তিনি গামলাটা বসালেন এবং হাত-পা ধোয়ার জন্য তাতে পানি রাখলেন।
31 সেই গামলার পানিতেই মূসা, হারুন ও তাঁর ছেলেরা হাত-পা ধুতেন।
32 মাবুদ মূসাকে যেমন হুকুম দিয়েছিলেন সেইমতই মিলন-তাম্বুতে ঢুকবার আগে কিংবা কোরবানগাহের কাছে যাবার আগে তাঁরা তাঁদের হাত-পা ধুয়ে নিতেন।
33 কোরবানগাহ্ ও আবাস-তাম্বুর চারপাশে তিনি পর্দা খাটিয়ে উঠানের ব্যবস্থা করলেন এবং তার দরজায় পর্দা দিলেন। এইভাবে মূসা তাঁর কাজ শেষ করলেন।
34 তারপর মেঘ এসে মিলন-তাম্বুটা ঢেকে ফেলল এবং মাবুদের মহিমায় আবাস-তাম্বুটা পূর্ণ হয়ে গেল।
35 আবাস-তাম্বুটা, অর্থাৎ মিলন-তাম্বুটা মেঘে ঢাকা এবং মাবুদের মহিমায় পূর্ণ ছিল বলে মূসা সেখানে ঢুকতে পারলেন না।
36 বনি-ইসরাইলদের সারা যাত্রাপথে যখনই আবাস-তাম্বুর উপর থেকে মেঘ উঠে যেত কেবল তখনই তারা বের হয়ে পড়ত;
37 কিন্তু মেঘ উঠে না গেলে তারা বের না হয়ে মেঘ উঠবার জন্য অপেক্ষা করে থাকত।
38 বনি-ইসরাইলদের সমস্ত যাত্রাপথে দিনের বেলায় তাদের চোখের সামনে আবাস-তাম্বুর উপরে থাকত মাবুদের এই মেঘ আর রাতের বেলায় সেই মেঘের মধ্যে থাকত আগুন।