19-20 তখন আল্লাহ্র ফেরেশতা যিনি ইসরাইলীয় দলের আগে আগে যাচ্ছিলেন তিনি ঘুরে তাদের পিছনে চলে গেলেন। মেঘের থামটাও তাদের সামনে থেকে পিছনে সরে গিয়ে ইসরাইলীয় ও মিসরীয়দের দলের মাঝামাঝি দাঁড়াল। তাতে মিসরীয়দের দিকটা হয়ে রইল মেঘলা ও অন্ধকারে ঢাকা আর বনি-ইসরাইলদের দিকটা রাতের বেলায়ও হয়ে রইল আলোময়। এতে সারা রাতের মধ্যে মিসরীয়রা বনি-ইসরাইলদের কাছে আসতে পারল না।
21 পরে মূসা সমুদ্রের উপরে তাঁর হাত বাড়িয়ে দিলেন; আর মাবুদ সারা রাত ধরে একটা পূবের বাতাস জোরে বইয়ে সমুদ্রের পানি দু’পাশে সরিয়ে দিলেন। তিনি পানিকে দু’ভাগ করে সমুদ্রের মধ্য দিয়ে একটা শুকনা পথ তৈরী করলেন।
22 বনি-ইসরাইলরা সমুদ্রের মাঝখান দিয়ে শুকনা মাটির পথ ধরে হেঁটে চলল। তাদের ডানে-বাঁয়ে সমুদ্রের পানি দেয়ালের মত হয়ে দু’পাশে দাঁড়িয়ে রইল।
23 এই ব্যাপার দেখে মিসরীয়রা পিছন থেকে বনি-ইসরাইলদের তাড়া করল। ফেরাউনের সব ঘোড়া, রথ ও ঘোড়সওয়ার তাদের পিছনে পিছনে সমুদ্রের মধ্যে গিয়ে ঢুকল।
24 ভোর রাতে মাবুদ মেঘ ও আগুনের থামের মধ্য থেকে মিসরীয় সৈন্যদলের দিকে চেয়ে দেখলেন আর তাদের মধ্যে একটা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করলেন।
25 এছাড়া তিনি রথের চাকাগুলোও খুলে ফেললেন; তাতে রথ চালাতে তাদের খুব কষ্ট হচ্ছিল। মিসরীয়রা তখন বলল, “চল, আমরা বনি-ইসরাইলদের ছেড়ে পালাই, কারণ মাবুদই বনি-ইসরাইলদের হয়ে মিসরীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন।”
26 তখন মাবুদ মূসাকে বললেন, “সমুদ্রের উপরে তোমার হাত বাড়িয়ে দাও। তাতে পানি আবার ফিরে এসে মিসরীয়দের উপর এবং তাদের রথ ও ঘোড়সওয়ারদের উপর পড়বে।”